ওহে মোর গার্গী ললনা
   ভাঙ্গো তোমার শিকল কলহ
সেবাধর্ম ঘুচিয়ে করহ সংহার
ভাঙ্গো গৃহের সেই চার দেওয়াল,
  ভাঙ্গো সেই কপটতা,
দীপশিখা জ্বালিয়ে বুঝাও স্থবির বেদনা।
ছিন্ন হে সমাজের অস্থিমজ্জা
   গৃহকর্তার সেই শাণিত নয়ন
তন্দ্রাভরা বিমূঢ় তেজ,চপল মন
করো হে দর্পচূর্ণ,
  প্রজ্বলিত করো অগ্নিশিখা,
জড় ওই সম্পৃক্ত চিত্তকে দহন করো নির্দ্বিধা।
তুমি সে ধন্যি তনয়া
    গর্জে ওঠো কোন যাতনা
শান্ত নীড়ে পরিবারের হাত দেও সুফলা
হীন মন কে যে কাঁদে,
     দেয় জরিমানা সে যে ফাঁদে,
স্বামী কর্তৃক পাও হত আর সহেনা।
ধৃত ওই দেবালয়
  শান্তির সে পরাকাষ্ঠা পলায়
দৃশ্যদূষণ, যাদের রক্তচক্ষু কলুষিত
দংশিত ওই সমাজতন্ত্র,
       একমুখী চলা পুরুষতন্ত্র,
ধৌত করো তন্বীশিরার সেই কৃত্রিম সম্পর্ক।
তুমি হে অনুরাগিনী
      সংসার মম পূজারিণী
পরিবার মোহ অমৃত ধারায় ধর হে প্রাণ
নিরাশায় সহ কষ্টজাল,
বিভাসে মেটাও জগৎবাসীর সান্দ্র অভিলাষ
   তুমি সেই অন্তর্যামীনি।
মায়াভরা সেই আশাহাত
    অতল স্পর্শে দাও সোহাগ
রিক্ত হস্তে হাল ধরো এই ভুবনেরি
সজল ভরা সেই হাঁসি,
   সম্মানীয়া সেই দুহাত ই,
হৃদয় মোহিনী, তুমি ফলাও অপার কুসুম।
জন্ম!!!
তুমি হবে সে পরগৃহ
   নিজের ভাবে পরকে করবে আপন প্রিয়
হেঁসেলের চাবিকাঠি,
     পরিবারের সেই ঝঞ্ঝাটি,
সতীন ভেবে স্বামী হবে যখন পর
কিভাবে মুছবে তুমি নিজ আখির জল ?
তুমি কখনো ধাত্রী ধরণী
   কখনো দুগ্ধদায়ী মা সুহাসিনী
আঁচলের ছায়ায় তুমি হও করুণাময়ী
সন্তানমুখো সেই আদর,
      অম্লান সম প্রেমসাগর,
জগতজননী তুমি হে নারী আদরিণী।
মাটিতে পড়া মায়ের সেই মূর্ছা দেহ
  কাতর শরীর অসহায় হাত চাইছে সহায়
নামধারী জাতি চিরনিদ্রায়,ভাঙ্গেনা ঘুম
আহা রে মোদের কী ব্যস্ততা,
   গলে না মনের সামান্যটুকু দয়া,
ভগ্ন জড়,পাথর সম পাষাণ হৃদয়।
    ধন্য সেই গর্ভধারিণী
   নহে সন্তর্পনে কভু পরচারিণী
পতিধারী সমাজ করছে তোমাকে অবাধ ভোগ
  ধরো হে বিজয় মশাল,
    মুছে দাও এই একতন্ত্রের বিভ্রাট,
মুক্ত ভুবন তোমার সুধায় অপেক্ষারত
      শোধিত হবে এ সমাজ বহ্নি।