তুমি আমার সুরের বিতান
ধ্বংস নিনাদ সৃষ্টি
জাগিয়েছ কোলাহল ছটায় ছটায়
অপ্রতিসম কৃষ্টি।
ভরাও সংসার রঙিন ফুলে সুখের গোছা হয়ে
দেও বেদনা অমর বিরহে শয্যা বেদনা দোলে।
হও সুরভিত পুলকিত কেশে কাহারো ময়ূরপঙ্খী
ধরা দেবে গো আদর করে আবেগের সেই সাজঘর টি।
যে রসে সুতোয় সুতোয় গাঁথো সুখের সেই শ্রাবণে
ঝড় ঝড় বৃষ্টি,সোদা সোদা গন্ধ,
নয়া মিলনের পাবনে।
তুমি আনো বসন্ত,
  জন্ম যবনিকায় বসাও সেতু
নতুন শুভ্রতার সিঞ্চনে।
ঝরে যায় পাপড়ি,
       শুকিয়ে যাও তুমি
দেও বেদনা বিষন্নতা, অভাগীর করুণ স্বর্গে।
খেলে যায় চন্দ্রিমা নিশীথের যৌবনে,
       সুপ্ত করবীর পাতা মেলে
তাহার স্পর্শে হয়ে উঠে সুতো
   আপেক্ষিক নয়া গুঞ্জে।
কুমারীর হাতে তুমি যে জব্দ
  প্রদীপের গহীন আলোয়
হাতে রঙিন কূলের সৌখিন,
   বকুলের চাঁদনী মুখোয়।
তুমি ছড়াও পূবায়ু
   বাংলার নদী - মাঠ ছেয়ে
দুঃখের মালা কথন শুনে
   যাত্রার অন্ত বয়ে।
তুমি কি আর বুঝবে নির্ঝরতা!
পাখির নিতান্ত ডাকে যার হারিয়ে যায় সুবাস,
দুটি প্রাণের সৌহার্দ্যের সাথী তুমি যে,
মালা হয়ে জন্মাবে কোথাকার,
   তুমি আমারি সে।