যে কবি সে কবি নহে , সে মুক্ত কথা
শ্রুতি লোচন ভক্তি মদন দোপার অমর গাঁথা।
জানি না সে কোথায় কবেকার কোন্ দেশে
তাঁর জরীপে হবে বিধান কৃষ্টি অক্লেশে।
সে লুকায়ে তরু গায়ে সরু পাতা নীচে
ধরবে পত্র একা একা দ্যুতি সৃষ্টি বাহে।
নয় সে লাজুক লজ্জাবতী দূরদর্শী নেত্র
ইচ্ছে চতুর ময়ূরপঙ্খী লেখা দুরুত চিত্র।
সে দেখাবে পল্লী দশা নগর গগন সমীপে
কবি আমার মহান চিনু এক পংক্তি জমিনে।
সে কবি যে জানে মাধুরী, দাদরা-রাগ-রাগিণী
সুন্দর কমল চিত্র সুরে ভরায় চরণ দুখানি।
যে ছবি শুধু চেয়ে থাকে মুক্ত আকাশে
হারিয়ে যায় অন্ধ মুনি শূন্য ঝুলির কাছে।
বাল্মীকি মুনির গুণগান কর তুমি,
তুমি কি রাখতে পারবে তাঁর জ্ঞান অটুট ?
তুমি সে নও আর্যভট্ট, নহে মহাকবি কালিদাস,
নয় তিলক কাটা বৈষ্ণব;
বিদ্যাপতির উত্তরসুরি তুমি সেই মহান সাধক!
দহে পরাজয়ে হার মাননা তুমি কী শূন্য বাসর ?
ভাষার সুরে অনেকে এসেছে, তুমি কী সেই জানি ?
তাঁহার যে ভাষারূপ, তার ঝলকে কী আছ তুমি ?
বসবে ধীরে সাধক হয়ে আজন্ম কবি
সে ভাষা যে বুঝে না যে;
সে কবি নও তুমি।।