ওরে বন্ধু দেখহ্,
      পূব আকাশ আজ ভেঙে পড়েছে
    কাস্তে নিয়ে আসছে ঢল সারি সারি।
    অস্থির দূরহ চিত্তকে ভর করে-
               দুঃস্বপ্নের ফসল কাটবে আজি।
         নিয়ে যাবে থোকা থোকা-
                অদৃষ্টের কাঁধে করে
       সম্ভ্রম আর দুষ্কর, কঠোর কড়া প্রহারে।
      করেনা'গো ওরা ধ্যান
    মিথ্যের দূরভিসন্ধি আর প্রচারের জ্ঞান।
   বিজ্ঞাপনের সুলভে বিলাসিতা
          আর ঘোড়ায় চড়া টাট্টু;
বাঁন্ধে না কোনো রঙ,
    শহুরেদের হায়-হ্যালো করে ঢং।
   জীর্ণ ফ্যাকাশে চামড়া
       নয় শিলার ন্যায় ঠান্ডা সবুজ কলিজা
  খসখসে ঢেমরা হাত দুটো
     মেহনতের কষ্টে ঠাসা।
  ওরা দিয়ে যায় নিজেদের ভরসা
       বিনিময়ে পায় শুধু ঠকা।
দেশ যখন বিকিয়ে গেছে পাশ্চাত্যের দুস্তর ফ্যাশনে
   ওরা ভাই খেটে মরে,
                ঘরে জুটেনা অন্ন,
         সংসারে অভাবের টানে।
    সময় নেই ওদের,
       আজ ওদের জন্য ছেড়ে দাও স্থান।
  নেও কাস্তের মশাল
      একা হাতে তোমাদের মানায় না।
  নিভিয়ে দাও নিওন আলোতে আঁকা-
               সৎভাইদের হাঁকা।
   বেজে গিয়েছে ঘণ্টা আজ,
       গাইতে দাও ওদের,
কাস্তের ভেজা সুরে বাঁধো বিবিধের ফসল।
   ওরা এখন কর্দমাক্ত
      ভুকা দেহে তেষ্ট,
    তবুও কর্মধারা নয় থেমে।
  কাস্তে হাতে উন্মুক্ত কন্ঠে
        বাজিয়ে তোলো বজ্রনিনাদ।
    ভেঙে ফেল পাশ্চাত্যের দোয়ার,
            চালাও প্রহার অবিরাম।
         গুছিয়ে নাও শেষ পর্যন্ত।
       আর দেরি নয়,
আজ পূব আকাশও গাইছে তোমাদের সাথে,
     অঝোরে জানাচ্ছে অভ্যর্থনা।
   রক্তে রাঙানো কাস্তে দিয়ে ভেদ করো পাশ্চাত্যের যাঁতাকল।
    নেভাও দৃশ্যদূষণ।
       প্রাচ্যের বুক কর্ষণে;
  কাঁধে ভর করে তোমাদের,
   গায়ে দধীচির হাড়ে গড়া কাস্তের চড়া;
দুঃস্বপ্নের জ্বালার হাতছানিতে আকো
         মেহনতিদের কথা।