সেই ছোট্ট ছিলিস যে
খামারে অন্য দামাদের সাথে একলা তুই।
রেসিং ট্র্যাকে অফুরন্ত মেজাজ আর তীব্র হুংকার।
হেরে সেরও তুই জিতলি সকলের মনের গরজ।
মাস্টারের সাথে চড়া দামে সখের তোকে কিনলাম
ছিলি ছুটন্ত এক জায়গায় না বেঁধে পারলাম।
আদর করে সোহাগের রূপ ভেসী বলিয়া ডাকি
মনে জাগত খটকা তুই হায় একদিন চলে যাবি।
বাঁশঝাড় আর ফুলের বেড়া মেতে রাখতিস ভুবন
সোনার গড়ন মুখ তোর ঝরে পড়ত আকর্ষণ।
তুই যেন দাবার ঘোড়া
ছুটতিস বারবার শত্রুর মোকাবেলায়
একদিন তুই চলেই গেলি কাগজের বন্ধন কাটিয়া।
দড়ি খোলা অশ্ব ক্ষুর মানলিনা কোনো বাঁধা।
চলেই যাবি তাহলে এলেই কেন
মায়ার জালে জরালিই বা কেন।
তবুও আমরা আশাবাদী।
তুই যে সেই রূপকথার ঘোড়া।
চিরসাথী হারা,
একা একা, আঁকাবাকা শুধুই ছুটবি
যে মানেনা কোনো ভয়,
বোঝেনা চাবুকের পিঠ চাপড়ানো
অশ্বক্ষুর বাঁধেনি কেউ তোকে।
তুই যে রূপকথার সেই টাট্টু ঘোড়া।
সাহেবের পিঠ এটে পাড়ি দিবি
স্বপ্নের প্রাসাদ দূর্গে,
দিবি যতন বোঝা করে দুই পা আঁচড়ে।
তারপর হঠাৎ একদিন এলি তুই
তাম্র বাদামি মোড়ক আর সেই মায়াবী চোখ
হ্রেস্বা বলে চেচালি।
ধরেছিলাম তোকে
ফিরে এসেছে আমাদের ভেসী।
কিন্তু অন্য রূপে,
গায়ে তোর সোনার চাদর মোড়ানো।
সাহেবিয়ানা মুকুট
বিশ্ব জয় করে অবশেষে,
আসলি-
দিকে দিকে জোয়ার ঢেলে।