১|
মেসের সে ছোট্ট মেয়েটি মিঠাই
  কুড়িয়ে আনা সন্তান
আস্তাকুঁড়ে প্রবিষ্ট, পিতা-মাতা অধরা।
দৃষ্টিহীন, চুল তার রুক্ষ
কেউ কথা বলেনা,
দেয় না কেউ খাবার,
উচ্ছিষ্ট এর ভোগে সে যতটুক পায়।
      শুধু মেসে একা বসে কাদে।
একদিন হল ভোরে,
            দুধওয়ালা এল শোরে
দেখল সেই মেয়েটিকে,
        মেসে বসে ঘোরে
আদর করে ডাক দিল,
           মেয়েটির মুখ ভার
মুখে কথা লাগে তার,
       শুধু ঈশারায় করে আবদার।
সোহাগ করে কাছে এল,
         ওর কাছে জানতে।
ওর চাই শুধু দুধ,
      তৃষ্ণার ক্ষিদা মেটায় যেতে।
তৃপ্তি করে খেল সে;
দুধওয়ালা খুশী,
দুধের দামটা পাওনা রহিল, সে একার প্রত্যাশী।

২|
কিছুবছর পড়ে দুধওয়ালা- আবার ফিরে মেসে,
মেসের মালিক ধান্দাবাজ,
        কিছুদিন পরে আসবে।
খুঁজছিল সেই ছোট্ট মিঠাইকে;
    চোখ ছানাবড়া
তাহার দৃষ্টি যেন ক্ষীণ প্রাণ ওরা অভাবে কাড়া।
তীব্র চেষ্টায় জানতে পেয়ে গেল হোস্টেলে,
  ছোট্ট মিঠাই সখীদের সাথে,
   ব্রেইলি পাঠে পড়ে।
পেল সখী, পেল পড়শি, পেল সুখের ফোয়ারা,
   দুধের মালিক অশেষ খুশী,
মিটিয়ে গেছে ওর হিসাব
আর চাইনা কোনো মিটমাট
ওর মুখে মুচকি হাঁসি,
   আর নেই কোনো দোটানা
  দুধওয়ালার পাওনা দাম;
   খুশীর মোড়কে চোকায়া।