দিনদুপুরে আসফাস
রৌদ্রের জ্বালা পুড়েছে ঝপাত। ক্লান্ত।
ব্যস্ত শহরের শহরের কোলাহল এরই মাঝে
কোথায় যেন থেমে।
হঠাৎ দেখলাম এক কিশোরী হেঁটে আসছে
আলতো চেপে গুটি গুটি
ভাঙা ঘুঙুর পায়ে;
ছেড়া কাপড় গায়ে-
সারা শরীরে শুধু আঘাতের দাগ।
সে কিছু বলতে পারিনি
কেবল দেখিয়েছে তার ক্ষতচিহ্ন
আর জাপটিয়ে ধরে শুধু কাদঁছে
আমি ঠিকই বুঝেছি।
ধর্ষকের ডাগর লালসায় তার কন্ঠ আজ রুদ্ধ।
তার শরীরের কাপড় ছিড়েছে
বিবস্ত্র করেছে
কেউ শুনেনি তার আর্ত বেদনা
তার নগ্ন কাপড় ঢেকে দিয়েছে দর্শকদের চোখ
কয়েকজন বা সাহস করে এসেছিল।
তবে সাহায্য করত নয়;
উপভোগ করতে
ধর্ষকের কামড়ে ভাগ বসাতে দৃষ্টিনন্দন পেতে।
হায় রে মোদের মনুষ্যত্ব!
হায় রে মোদের জড়তা!
পাষাণ হৃদয় শুনেনি বুক। ধরেনি ওর আওয়াজ।
তার ভাঙা ঘুঙুর পায়ে কেবল সান্ত্বনার অশ্রু ঝরিয়েছে।
কেউ বা জড়িয়েছে কাপড়,
নিজের চোখ ঢেকে
কেউ বা পুলিশ ডেকেছে
ধর্ষকের হয়ে
ধর্ষিতার মুখ বন্ধ করতে।
কিন্তু কেউ আসেনি ওর কাছে,
ওর অপবিত্র শরীরে জড়তার হাত বুলাতে।
কেউ আসেনি।
আমি এসেছি। এসেছি সব শেষে।
কিন্তু তখন ত সবই শেষ
সবাই যে ধর্ষকদের দলে নিজের নাম লিখিয়েছে
ভরা পোশাকে পুলিশ তার দায়টুকু করেছে
মুছে দিয়েছে ওর জবান।
ঢেকে দিয়েছে ওর ক্ষত টাকার অঙ্কের চাদরে।
আমি কেবল বসে থাকতে পারিনি।
হয়েছি সোচ্চার তার বোবা কান্নায়
ওর শুকনো কন্ঠে গলা ফাটিয়েছে
একটু হলেও ভাগিদারি হয়েছি
মরা আর্তনাদে
আর ভেঙে পরা শহরের সংকর কলিজায়।