তোমার দোয়ারে একটিবার ঠেকাই মাথা
ও সজনী।
রেখে গেছি,
কত যুগের পুরোনো ব্যথা;
চাই একটিবার ঠেকাই মাথা
ও সজনী।
ভেসে গেছে জীবনের চলা
আমার হৃদয় তোমাতে খোলা
  কিছু সময়ের ব্যবধান
আমি তুমি পাশে
সাত আকাশে কাছে
পরানের পাখি হয়ে কোথায় যেন যেন উড়ব।
উৎকণ্ঠায় রয়েছি আমি
   নিঃশব্দে রয়েছি আমি
আমাকে ছুড়ে ফেলে দেবে না তো?
তোমার শরীরের গহনা হতে চাই
    একটিবার ধরা দেবে
    ও সজনী।

নিভে গেছে আশার প্রদীপ কবে মোর
জীবন হতে
ধূসর পর্দায় লিখেছি
  রেখেছি তোমার ইতিহাস
কোন্ অজান্তে
ও সজনী
   একটিবার ধরা দিও।
তুমি কেন রয়েছো লোকারণ্য
আর ঝলসাবেনা তোমার খামখেয়ালির তারুণ্য।
যৌবনের ভিত অনুর্বর এখন,
  রূপের সাগর গাইছে না কুঞ্জন-
তোমার পিছু পিছু আমি হয়েছি দুষ্কর।
মৃত খনির ন্যায় নির্জীব মোর প্রাণ,
  শুধু একটিবার কাছে এসো
  ও সজনী।
সজীব স্বপনে দুলিয়ে দুলিয়ে
মোর অন্তর শুধুই কাদে এখন।
কত রাত্রি দিয়েছে যাতনা
ঝরা পাতার ন্যায়
ওরে আমি সবুজ
    কী অবুঝ!
কতটা বুঝব ওকে?
ও যে ছিল আমার তরুণ সখী
আমার হারানো সম্পদ
ওর কোলে মাথা গুঁজে পেতাম
   স্বজন হারানোর দুখ।

রাতের আঁধারে চাঁদের আলো
তোমার চরণে পড়ে
মুখ বেঁকিয়ে নিয়েছে
আর ধাঁধার মধ্যে বাঁধবেনা সে
মোকে।
ও বুঝে গিয়েছে তোমার ছলনা
  আর কলহ না;
ওর কাছে গেলে কেবলি ফনা তুলে
ছুঁতে চাইলে কেবলি দংশন করে।
আমার ক্রন্দন আর সে গাইবেনা।
আমার স্পন্দনে আর সে ধুকবেনা।
বেলা হয়েছে বেজায় ভার
আমার যন্ত্রণায় উৎসুক সবাই
  কোথাকার কবেকার আমি
ওকে ধরলে শুধু কাঁচা মানিক পাই।
  সেটাও যে ভুলিবার নয়।
নহে তোমার উপর অধিকার
নাহ আমার চলন
শুধু লেশমাত্র ভরসা নিয়ে
মোরা এসেছিলাম
  আর পড়ে রইল কেবলি মোদের গড়ন।

সবুজ নেশায় প্রাণ করত ছুটোছুটি
  জীবনের ছন্দ শুধুই দিত বেদনা
আমি একা পড়ে পড়ে শুধুই বোকা
আঁকছি ফেলে আসার সেই দিন।
ওরে সজনী আমি কেন এত আসহায়
  শুধু কী আমি?
       তুমি কী কাঁদো নাই?
জীবনের সুধা জড়িয়ে আমাকে বিধো নাই।
সেই ভূলে হয়েছি আমি দিশেহারা
ও যে কেবলি স্রোতস্বিনী,
স্রোতের আবহে-
হিয়ার পরশে জমেছে আঠা,
আর আমাকে করেছে স্রোতহারা।