যে বীজটি আজ ছোট্ট চারাতে পরিণত হল
বৈশ্ববিক দুনিয়ার হাতছানিতে সে লালিত
সে সবে নিজের চোখ মেলেছে,
     বিশাল বটবৃক্ষের মাঝে
ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
বৃষ্টির জলে সামান্য টুপুর
   যেন কিঞ্চিৎ শিহরিত করে তার মন
সেও এই বৃহৎ সমাজের সামান্য অংশীদার।
অতীব ক্ষুদ্র সে,
হয়ে উঠবে আগাম দিনের বনস্পতি
  সূর্যের সেই সামান্য কিরন
বিশাল বটবৃক্ষের ডাল ভেদ করে
  পড়েছে তার শরীরে
আর উদযাপিত করছে তার বৃদ্ধিকে।
সে দেখেছে কালবৈশাখির ঝঙ্কার
  আবার শিশির ভেজা চাঁদোয়া
সমস্ত বাঁধা সে পেয়েছে
  কিন্তু উৎপাটিত হয়ে যায়নি।
কারণ তার তরে অপেক্ষারত আরও অজস্র চারা।
যা তার অলক্ষ্যে তাকিয়ে রয়েছে
যারা বৃদ্ধি পেয়ে হয়ে উঠবে,
     ভবিষ্যতের দীর্ঘকায়া।
সে দেখবে পাখির ডাক
   মৌমাছিরা এসে চাক গড়বে
ভ্রমরদের গুনগুন শুনবে।
তাই সে এখন প্রস্তুত
   বৃহতের ঘরে না কেঁদে
বৃদ্ধি পেতে সদা উৎসুক।
কারণ আগামী দিনের সম্মুখে সে জানান দিবে
বর্তমান ক্ষুদ্রতর, বৃদ্ধির এই দূত।