ভারতবর্ষ যখন পরাধীন
ধর্ম,বর্ণ, জাতপাতে ঘেরা সমাজে আচ্ছন্ন
ঠিক তখনই ধরণীর কোল আলো করে-
আবির্ভূত হলেন এক বীর শিশু।
নাম তার বিলে
হিংসার আগুনে ঘেরা নরকে জন্ম হয়েছিল তার
ছিল তার বুদ্ধিমত্তা
জ্ঞানের অঢেল বাণী।
ছোট্ট থেকেই স্বপ্ন ছিল তাঁর
অহিংসা পরায়না স্বদেশ গড়ার।
সেই সময়ে স্বপ্ন দেখাও ছিল যেন পাপ
ইংরেজদের দাপটে সারা দেশ যখন তন্দ্রামগ্ন
ঠিক সেই সময়ে মুষ্টিবদ্ধ হাতে;
বীর স্ফুলিঙ্গের মত আবির্ভাব হলেন বিলে
বাবা মায়ের আদরের নরেন।
হতে পারতেন তিনি অনেক কিছু
কিন্তু সংসারের মোহ তাঁকে বিকর্ষণ করত
চলে গেলেন শান্তির সান্নিধ্যে দক্ষিনেশ্বরে
বাবা রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের আশ্রয়ে।
সেখানে অনেক দিন থেকে
অবশেষে বোধগম্য হল তার
আদরের নরেন হয়ে উঠলেন বীর সন্ন্যসী,
হয়ে উঠলেন বিলে থেকে স্বামী বিবেকানন্দ।
তারপর একে একে সারা দেশে
নানা জায়গায় ননা ক্ষণে দিলেন শান্তি ও মুক্তির বাণী।
সেই মহান শিকাগো ধর্মমহাসভা।
ভারতের হয়ে একমাত্র প্রতিনিধি
ও তাঁর সহকর্মীরা
দিলেন সেই কালজয়ী ভাষণ।
দলে দলে লোক তার সান্নিধ্যে এল।
দেশের গৌরব সপ্তসিন্ধুতে উঠে এল।
লিখেছেন অনেক পুস্তক
করেছেন সমাজের জন্য কিছু
বেলুড়মঠ তার নিখুত প্রমান।
তিনি ছিলেন মহান যোগী।
তারপর হঠাৎ একদিন প্রবল ধ্যানে মগ্ন হয়ে;
মহাভিনিষ্ক্রমণ লাভ করলেন।
চলে গেলেন উনি।
শুধু এখন পরে রয়েছে তাঁর কর্ম।
আর তাঁর কর্মের গর্বে গর্বিত স্বদেশবাসী।
কম সময়ে সমাজের হিতে করে গেছে যা
জন্মজন্মান্তরেও সেই কর্মের ফল ভূলিবেনা তা।