হে তরুণ,
তোমরা এক চঞ্চল বরুণ,
ঝুলবে করুন সমাজপন্থা তোমারি কাঁধে।
তুমি বিজয়,
নিয়ামক নির্ঘণ্ট অন্তর বিচলে খুঁইয়ো না সময়।
দেখছে সময়,
কেবলি তোমার প্রতীক্ষায়,
তার কব্জা এখন থেমে পার্থিব কলেবর।
তোমায় চেয়ে যেন চমকে ওঠে, ক্লান্ত মুখ ভার
সংযম দুষ্কর্মে ভেঙে গেছে ইহার ঐকতান।
তোমারি প্রাণে গাইবে তানে টানবে মঞ্জুরি,
তোমারি গর্ভে ধরাবে প্রাণ বিজয়ের কান্ডারী।
দুঃশাসনের কালো মূর্তি কুটিল জলঙ্গি
শঙ্কা ভরে বাঁধবে তারে ধূর্ত বিরাগী।
যে যাবে চলে যাক,
তার দিকে দুবার ফিরো না তাক
অস্পর্শে সে জ্ঞাত নয়
গ্লানির ক্ষুদায় সে সন্ত্রস্ত;
বিজয়ের বাণী কাপছে ধরণী,
বিবাদী না হয়ে।
তোমরা তরুন - তোমরা বরুণ
ঝড় বিনত কুণ্ঠায়ে।
জ্বালাও আগুন,
দুষ্ট কুটিরের অস্থি মুড়িয়ে ভাঙাও ঘুম
দ্রোহ ছড়ায় সমাজের বুকে ওরা কারা?
সেই আগুনে পুড়বে যেথা পাষাণ ওরা।
নির্বাক চিত্তে উন্মুক্ত মেরুর বিচার বুকে
শোধিত করো ধৌত করো চলমান ঝড়ে।
ভরাও সেই শূন্যতা,
শূন্য দৃষ্টি গড়বে সৃষ্টি নাশ হবে জড়তা
সেই রথ কে ভাঙ্গবে,
যখন তাহার সুতোর পাক তরুণ বীর।
যত সহস্র মৃত আধারী জাগাবে কলহ
কুলীন মুন্ডন সমাজের বৈরিতা করবে দংশন।
কে করবে জয় ?
বাচাল রথীর বুকে বাজিও,
ছন্নছাড়া অস্ত্রহারা দেখে ভুল করোনা
খুলোনা সন্ধির দ্বার-
সুযোগ পিয়াসী জালে জড়াবে, দেবেনা প্রতিদান।
দুর্যোগের এই কপাটে দিও না রাখীর বাঁধন
তৈরী ওরা ছো মারতে তোমারি বন্ধন।
জানবে আবার কে,
একদিন যাবে মরতে মরতে,
দহন ভূমে আসবে দূত-
চিনতে চিনতে টেনে টেনে চলবে তোমাদের ভূত।
বীর বিজয়ী তোমরা ডরোনা
চেয়ে অলক্ষ্যে রয়ে
বোঝাবে জড়ের কণ্টক মরুত
সংসার বিজয়ে।
তোমাদের এই পথ অচল, মলম মাখবে কে ?
প্রতি পদে থাবা থাবা, হার মানোনা যে।
চুইয়ে পড়ে যে জল,
বিন্দু বিন্দু পায়ে,
তাহার ঊর্জা কত কঠোর, বানায় বিজয়ী এক একটি লৌহবর্ম ছায়ে।
তোমার চিহ্ন পড়ে থাকবে অস্পষ্ট পদধুলি
তাহার গুড়ি গুড়ি যেন ধরণীর বোঝা-
কে শঙ্খনাদ করবে ? কেই বা স্পর্শ করবে? এইটুকু!
পরাধীনতার ক্রন্দন চিরখতিয়ে বিজয়ের মর্ম চির ধ্বনী।