শুনো হে নারী!
ভুবনমোহিনী তুমি, জাতিসত্বা সবুজ ধরা গড়ায়ে
বঙ্গবৎসল হে জমি তুমি ভুবন গর্ভায়ে।
তোমার আঁচল মুছায়ে মোরা পাই পৃথিবীর সুখ,
তোমার ফোঁটা ফোঁটা অশ্রু ঝরায়ে মুছো পৃথিবীর দুখ।
তোমার চেয়ে নহে দামী কিছু
রতন দেখে লয় কনে-
বিনম্র সন্ন্যাসিনী ধারণ করে;
ঢাকা পড়ে তোমার পাপ সনে।
ধন্য হে বেহুলা মনসা যাদের প্রতিজ্ঞা ছিল সমর্পিত প্রাণ
হে নারী; তোমাকে বলছি!
সংসার মোহ ত্যাগে তোমরা কেন কর তন সংহার।
সংসারে হাল ধরো সুখ,
স্বামী শশুর বিজড়িত
চুপি চুপি কেন যাও অভিসারে
ঘরের একূল অকূল ডোবাও।
তোমার আলতা পায়ে গেয়ে উঠে ঘরের পঞ্চপ্রদীপ
তোমার ঐ ঘুঙুর পায়ে কেন ধ্বনিত হয় চার দেওয়ালের ভিত ?
হে নারী!
জগত ত্রিলোক তোমাকে পূজায়ে
দুর্গা সরস্বতী দামিনী
উগ্রমস্তা রনচন্ডিনী তোমারি গলায় কেন জরায়
মধু কুঞ্জন কামিনী?
তুমি হে সুন্দর প্রতিমূর্তি, পূজিত হও এই ত্রিভুবনে
কালো আঁধারে রাত পেরিয়ে;
কেন ধাবিত হও দূর আলোয়ে।
যাও তুমি ধুচ্চার ন্যাক্কার দূর পতিতালয়ে,
তোমার শৌর্য যায় চুরিয়ে,
পাও ক্ষণিকের লালসা তৃপ্তি দেহের পয়সা কুড়ায়ে।
তুমি হে গঙ্গা, তুমি হে নীলিমা রূপিনী,
তোমারি নিষ্ক্রমন জরার সুতোয় ভাসিয়ে দাও গৃহহিনী।
পূণ্য হে ধরা ধর্তি গর্ভ তুমি সেই সঞ্চারিণী,
তোমার অশ্রু পাঁচিলের ঢেউ টপকিয়ে উকি দেয় ভ্রমরিণী।
হে নারী তোমার নিতম্ব ভ্রূণ হিতে জন্মে বীরাঙ্গনা,
তুমি কেবলি চঞ্চলা,
তুমি হে সজনী,
তোমার ভ্রূণরেনুই হতে জন্ম দেয়
নিষিদ্ধ আলয়ের নৃত্যকার অপ্সরা।
তুমি হে ধর দেবালয়ে শ্রীরুপা,
শ্রীচরণী,
শান্ত বলাকা বকুল খোপায় খুঁজে পাই সেখানি।
তুমি হে ধাত্রী,
তুমি হে কর্তি,
তোমার শাসন পঞ্চবান
জ্বালাও শ্রীমুখ
তুমি হে ভুক্তভোগী, তুমি চারিণী
রাতের পরী লীন।
তুমি সেই অর্ধাঙ্গিনী,
কারোর চালনা
কারোর বিভারিণী
তুমি সেই দম্ভমূর্তি
যার জরায়ু ঝরায় বীর্য
যার অশ্রু ঝরায় বিষ।
তোমার অশ্রু বইতো বেহুলার ভেলার ন্যায়,
স্বামীর পরান বাঁচিয়ে ফিরিয়ে আনতে জ্যায়
তোমার চেহারা এখন হয়েছে যেন বৈতরিনী নদী;
অন্ধ দরিয়ায় পড়ে নিস্তরঙ্গ শরীর বেয়।
তুমি সেই হস্তসম্রাজ্ঞী,
গর্ভ সিঞ্চনে মুষ্টি হাতে বানাও হস্তরেখা,
পরিবার মুখঅ অন্ন দানে-
হও অন্নপূর্ণা।
কভু ভাববে ওরা,
তুমি অন্ন কীভাবে জুগিয়ে পাও:
স্বামিহীন এই হেঁসেলের কাঠি
কীভাবে চলবে নাও।
দায়ভার যার তার তুমি দিয়োনা কান
পরকীয়া কোনো দুষ্কর্ম হয়, যদি হয় পূণ্যকর্মের মাপকাঠি।
মোরা হে বঙ্গবাসী তোমার সমীপে নিবেদন,
"ছিলে তোমরা শৈলচিহ্ন মধ্যযুগের বীণা,
এখন কেন পরাচারে হও স্বামী ঘরহীনা"?