তুমি শৌর্য তুমি উগ্র তুমি মূর্তিমান প্রতীক
তুমি জ্যান্ত তুমি স্তম্ভ তুমি সলিল দাম্ভিক
তুমি অন্ধকারে জেগে ওঠা আগুনের ফুলকি
অসহায়ের কালোমেঘে হাত বাড়ানো ফেরেস্তার দীপ্তি।
ছন্নছাড়া এই বঙ্গদেশে বিষাদের জ্বালা যখন চৌড়ে
  কে কাকে ছিড়ে খাবে, অন্নহীন খরা দৌড়ে।
ঘর দোয়ার বন্ধ সদর, অফিস-আদালত করেছে দখল
  ভীনদেশীরা আসছে তেড়ে, দিচ্ছে দিনরাত টহল।
ওরা তোমাদের অন্ন কেড়েছে,জমি কেড়েছে,
                          কেড়েছে বাসস্থান
নিথর বাঙালি তোমরা এখন ঘুমিয়ে,
     আসন্ন এখন তোমাদের মৃত্যু,
                 করছ বঙ্গধরণীর অবমাননা।
ভূলে যেওনা বঙ্গজাতি, বাংলা তোমার অহংকার
ওরা চাইছে জাতির পরিবর্তন,
     কেউ কাড়তে পারবেনা তোমাদের অধিকার।
নজরবিহীন ছাত্র আন্দোলন
                বঙ্গ বাঁচাও ভাবমূর্তি
পুলিশের গুলিতে ঝরেছে প্রাণ
                তাজা রক্তে মাটি গুরুগুড়ি।
মেয়েদের হয়েছে লাজহানি, অন্দরমহলে চলেছে ধর্ষণ।
পোয়াতি স্ত্রীলোকের লহু ধৌত শিশু,
                    জন্ম হয়েছে পিতৃহীন বন্ধন।
চারিদিকে ত্রাহি ত্রাহি রব,
       কে নেবে কাহার প্রাণ
বঙ্গের ভূমি বিদীর্ণ হয়ে;
       একা হাতে মশাল নিয়ে এল লৌহমানবতার।
ধীরে ধীরে জাগছে বাঙালি,
                একে একে তোমার হাত ধরে।
বোমা,কামান, গোলা নিয়ে
                 যুদ্ধের সেই প্রান্তরে।
তাঁহার নির্বিকার ভাষণ যেন অমৃত সুধা
করেছে উত্তেজিত স্বজনহারানো বাঙালির বুকে।
একাত্তরের সেই প্রান্তর,
হয়েছে মহান সেই যুদ্ধ-
           শুনেছে তোমার ঐতিহাসিক ভাষণ
ভীনদেশীদের কারাগার থেকে
          ছিনিয়ে নিয়েছ অখন্ড বাংলাদেশ তখন।