হে অরন্য দুহিতা,
    একদা তুমি বয়ে যাও
নির্ঝরের মত নিজ গতিবেগে
   জঙ্গলের বুক আলোকিত করে
মেঘের সেই সাদা স্তূপের নীচে
সূর্যের সেই সৌরকিরনের প্রতিবিম্বে
তোমার পদার্পণ।
পর্বতের বুক হতে জন্ম তোমার
উচ্চ চূড়ার গুহা হতে সৃষ্ট তুমি
শীতল কনকনে হিমবাহের উদর হতে
বয়ে নিয়ে যাও সেই ঠান্ডা জলের স্রোত।
পাথরের বড়ো বড়ো চাই
      ছোট ছোট নুরি কাকড়
সেই আঁকাবাকা গোলকধাঁধার পথ
  জঙ্গলের পৃষ্ঠ হতে বিশাল নদে মিশে
কত যে জন্তুরা তোমাতে পায় আশ্রয়
কখনো বা সেই মিষ্টি জলের মাছ
  আবার কখনো বা ঝর্নার সেই বেগ
সেই গতিবেগে বয়ে চলো
     অরণ্যের বুক চিরে।
তোমারি দুপাশের পাহাড়ি জমি
সেই গিরি কান্তর।
   পর্যটকদের সেই ভ্রমণের জায়গা
অরন্য দুহিতার সেই নামান্তর।
তুমি কোথাও শূন্য চিত্তে বালির চাঙ্গর
  আবার কোথাও গভীর খরস্রোতা জলের বহর
বর্ষাবহুল ঋতুতে তুমি কখন ভয়ংকরী
আবার শীতের হিমবাহ স্নাত
   তুমি কোথাও কনকনি।
তোমারি জলকে বহন করে
উপত্যকা নিবাসীরা চষে জমি
তোমারি ধারায় ধৌত হয়ে
      বিকশিত হয় উর্বর জমি।
তোমার কোথাও বরফের চাদর ভেসে যায় বয়ে।
কখনো বা মাছের দল খেলে যায় রোদের ঝলকে।
তোমারি জলের স্পর্শ জাত
   জঙ্গল পরিপূর্ণ রুপী
অরন্য দুহিতা তোমার যে নেই বিকল্প
   উপত্যকাবাসীরা তাই বুঝি।