ওই যে দেখ সুদূর দক্ষিণে
           রয়েছ একটা জগৎ
জাহাজটা সবে রওনা দেবে
         বের করবে তার চমক।
কেপটাউন থেকে বিশাল দেহ
           জাহাজটা হচ্ছে তৈরী
যাত্রীরা সবাই একে একে পৌঁছুল দুলে দুলে
            যাবার জন্যে তৈরী।
নাবিকরা মিলে সবাই একে পারি দিল সাগরে
ভারত মহাসাগরই যাবার প্রধান মাধ্যম
                  মিলবে গিয়ে সেই দূর পারে।
অনেকটা পথ পারি দিয়ে যখন রাত্রি হল
জাহাজের পাহারাদাররা দেখতে পেল
                    সমুদ্র ফুলে ফেঁপে উঠছে।
সাথে সাথে উঠল বেজে সাইরেন
সবাই সতর্ক!
যাত্রীরা সবাই হল এখন তৈরী
সামুদ্রিক ঝড় হানছে আঘাত
                   বিশাল জাহাজটার গাত্র
সাথে সাথে দুলে উঠলো
              কোনো সতর্কতা না দেওয়ার সাথে।
সকাল হল যখন সমুদ্র খানিকটা শান্ত হল
   একটা ছোট্ট শিশু দরজা খুলে যেন তালি বাজাল।
আরও দুদিন কোনোভাবে কাটিয়ে
                    যখন খানিকটা দূর
দেখা গেলে লাইটপোস্ট
            এখন গন্তব্যস্থলে পৌঁছুব,
ভূখণ্ডে পৌঁছুতে কাটতে হবেনা যে প্রহর।
সবার শেষে পৌছে গিয়ে
                    যখন করা হল নোঙর
পেঙ্গুইনরা করল সাদর অভ্যর্থনা
                 দলে দলে ছেয়ে।
যাত্রীরা সবাই একে একে
                  লামলো যেন সামলিয়ে
পুরোটা যেন বরফের চাদর
                 আর কিছু নয় ডিঙিয়ে।
সামনে ছিল অফিস ঘর
               একে একে যাত্রীরা করল স্বাক্ষর।
কিছুটা দূর দূর টাঙ্গালো তাবু
                  ইগলুর মতো করে।
কাটালো দুদিন একরাত্রি
            শীতের হাড়কাঁপানো সময়ে
পেঙ্গুইনরা ছিল সঙ্গী হয়ে
             করেছিল সদা তাদের মুহূর্তে।
দুটোদিন পার করে
               যখন সবার যাবার পালা
একরাশ অভিজ্ঞতা নিয়ে করল বিদায়
           অ্যান্টার্কটিকা একটি বিস্ময়ের খেলা।