দুটি কথা একটিবার শোনো রতনভাই
গায়ের বাকা পথটি দিয়ে কোথায় চলে যাই।
সামনে বিশাল ছাউনি দিয়ে ঘেরা বটবৃক্ষ
তার নীচে গুলি খেলায় হয়ে রয়েছি মোরা মত্ত।
একটু দূরেই রয়েছ একটা বিশাল হরিৎ ক্ষেত্র
হওয়ার তালে দোল খেয়ে যায়;
নতুন ধানের ফসল যত্র।
এমন সোনালি আকাশ, মনোরম বাতাস
    আমরা আকাশপানে চেয়ে চেয়ে
বকের দল শিকার করে যাচ্ছে
    যে যার জায়গায় উড়ে।
গায়ের পথটি যেন সরু
    যেন আঁকাবাকা,
দুদিকে সারি সারি নারকেল গাছ
    সোনার মোড়কে ঢাকা।
দূর থেকে এক ফেরিওয়ালা
    আসছে গাঁয়ের পথ বেয়ে
ক্ষণে ক্ষণে দিচ্ছে সজোরে ডাক
    জনগণের পথ চেয়ে।
আরেকটু গিয়ে একটা বিশাল কাঠের সেতু
নদী বয়ে যায় পাশে;
তার নীচে আস্তানা গেড়ে মজেছে রতন
গাছের দোলনায় বসে।
নতুন ফুলের পাতাবাহারে ঘেরা;
   কাশফুলের মেলা
তা যেন জোগান দেয় সামনে আগমনী
   আর বেশী দিনের নয়;
   উৎসবের পালা।
দুপুর পেরিয়ে বিকেল হলো
রতনের মা ছেলের অপেক্ষায়
রতন যেন গোধূলির আভাতে,
তার বন্ধুর সাথে-
গরু চড়িয়ে নিয়ে আসার ব্যস্ততায়।
সব শেষে রতন বাড়ি ফেরত,
মায়ের ডাকের জন্য
দিনের হিসেব যেন সে সামনে রেখেছে
মুখে যেন অমলিন হাঁসি ধন্য।