আমার পৃথিবীতে তুমি কল্পতরু
কল্পনার হাত ধরে চড়েছিলে
কোন্ অজান্তে
সেই অতীতে।
সেই প্রভাতে l ভোরের কাক হয়ে; বসেছিলে। নিয়েছিলে অরণ্যের সুর। করেছিলে প্রস্থান।
অরন্য বনানীর হৃত ছোঁয়ায়,
কঙ্কনের ঝনানিতে
আজও ধ্বনিত হয় বৃক্ষের গাত্র
আজও মরুর সেই ঝোপঝাড় গায়
কী একটা আশায়!
তোমার অশ্রু টপকে পড়ে দুই বিন্দু
দুস্তর মজ্জায়;
ঝরে পড়ে ইহার কণ্টক।
বাতাসে নড়ে উঠে ইহার মৃত শেকড়
উষ্ণ চর্মগায়ে শুধু জর্জরিত হয়
আশ্রয় করে কত আগন্তুক
বর্মহীন-কণ্টকহীন ক্ষত শরীর টি যেন চেয়ে থাকে-
উৎপাটিত শেকড়ের দিকে
তোমার অপেক্ষায়
কারণ জানে মরুর বুকে তুমি সেই কালের ঝড়
যার কাঁধে ঢেকে গিয়ে-
সে মিশে যাবে
দুষ্কর মুক্তোয় ছেয়ে যাবে আকাশ
তাহার সুধা পড়বে কান্তার বুকে
জন্ম নেবে বনানী। তুমি কেবলি হয়ে যাবে ইতিহাস।
ধ্বসে গিয়েছে পাহাড়ের বুক
কী একটা ঝঞ্জায়
না ঝড়, না বৃষ্টি।
ফিরে দেখেছে সে নিজের অতীতটি।
যখন সে ছিল জঙ্গলে ঘেরা। শীতল ছাউয়ে ভাসত তাহার বুক।
হয়েছিল তারপর এক দিন। হল মনুষ্যাদির আগমন।
গাছ কেটে সাফ করে করেছিল তাকে ফাঁপা।
শুধু কী তাই? পাথরের চাই ওর বুকে বেঁধে,
আটকে দিয়েছিল ওর প্রাণ। সে শুধু চেয়ে রয়েছে আজ তার অতীতে।
ফিরে দেখা সেই প্রহরে।
তুমি কি সেটাই বুঝেছিলে যেটা আমি চেয়েছি
না ধরা, না খোলা
জানি কী সেটা কল্পনা ? না নিবারণ
অস্থির আবরণে আমার চোখের পাতাটি
যেন খোলে যায়
তোমায় ভেবে।
পাহাড়ে চড়া সেই আরোহীর গায়ে
বেঁধে দিয়েছিলাম একটু আশা
পর্বতের অসীম চূড়ায়
বাতাস হয়ে মিশে যাবে
সেই ক্ষণিকের তৃপ্তিতে
না দেখা সেই ভিড়ে।