আমি আগুন,
  আমি বারবার জ্বলি,
  বারবার ধরি;
  নিজেকে পোড়াই
সে নেহাতই এক ক্ষুদ্র স্ফুলিঙ্গ
যে আমাতে জ্বলেছিল একবার
কিন্তু নয় অবহেলিত,
তার ফুলকি আমাকে বারবার মনে করায়
আমার ক্ষমতা
ক্ষীণ ঘর্ষনে উত্তাপে
    আমি ধরে উঠি।
দমকা হাওয়ায় নিজেকে প্রমাণ দিই।
  বৃষ্টির জলে নিভে যাই না।
কোথাকার কোন বজ্রপাত
লাগল গাছের উপর
  তাহার উত্তাপে ধরে উঠে ঘাস,
দেখে একে অপরের ক্রন্দন,
কিন্তু কে বা দেখে মোদের এই আর্তনাদ?
কে দেখে তাপের আড়ালে পুড়তে মোদের মুখ ?
যখন ও নিজেই পুড়ে নিজের জীবনে
দূষিত বায়ু ছড়িয়েছে পুরো দমে,
   সে এখন শুধু আমারি অপেক্ষায়।

মেঘের গোপনে লুকিয়ে থাকা জল
সূর্য কে দেখে নিতান্তই কাদে
সে ও যে আমার মত এক অগ্নিপিন্ড
সে নিতান্তই এক ক্ষুদ্র ফোঁটা
   যে একলা হয়ে পড়ে
মাঝপথে বাষ্প হয়ে উড়ে গিয়ে-
  আবার মেঘের কোণায় ফোঁটা ফোঁটা জমা হয়
জন্মজলধির অন্তরঙ্গ সে সবসময় দেখে এসেছে।
এটা নিতান্ত যে খামখেয়ালির নয়।

আমি জ্বলি-বারবার জ্বলি,
হয়তো একটা আশায়,
  এক দুর্বোধ্য অপেক্ষায়
কেউবা হয়ত আসবে, তাহার জীবনের মৃত ঊষায় মোর উর্জা মাখতে।
  নিজেকে ছড়াতে।
হয়তো বা শীতের কনকনে ঠান্ডায়
   তুষারের কনা হয়ে
নতুবা আগ্নেয়গিরির মুখের বাইরে অবান্তর বৃষ্টি রূপে।
    কেউ নিশ্চই আসবে।

ওর জীবনে জ্বালাবো খুশী
  জ্বালাবো প্রতিবার
আমরা অগ্নি ঝরা, নয় বারি ধারা
   যে শূন্য মাথায় বাষ্প হয়ে অদৃশ্য হব।
  আমরা পড়ি না,  
            কেবলি জ্বলে,
মাটির চাপে কয়লা হয়ে পড়ে থাকি না,
   আমি বিধ্বংসী জ্বালাময়ী।
বহ্নির উচ্চ শিখায় ধরিয়ে দেব ওর প্রাণ,
আর মোদের দহন তাপে ধৌত করব ওর গরল বারবার।
  একবার নিভবো,
       আবার বুঝবো,
  জ্বলবো শতবার।
জানি ওর জীবনের অন্তিম ইচ্ছায় অমরা জয়ী হয়ে-
হয়তো বা শেষবারের মত ধরে উঠবে একবার।