তোমারি সেই সুরে অনেক দূরে
     ভেসে যাবো পাতায়
গাইবে বাঁশী অভিমানী
      তুমি শুধু যে অভিমানী
কোন দীঘিতে চড়া পানকৌড়ি
চলে যাচ্ছে একাকী উত্তোলিত
নতুন সান্নিধ্যে
     নতুনের আশায়।
তুমিও সেই আমার জীবনে আসা -
খেয়ার তরী।
ভাসিয়ে চলেছ মোকে।
জানিনা কোন সুদূরে।
করলে আমাকে আলিঙ্গন
যাবার বেলা দিলে বিদায়
বিনম্র চিত্তে।
নিলেনা কিছু
    দিলে একরাশ স্মৃতি।
আর অভিমানে ঘেরা দৃষ্টি।
সেদিন তুমি সাঝবেলাতে
          ছিলে বারন্দায়
জ্বালালে মোমবাতি
করলে ঘরকে আলোকিত।
সারা ঘরটি আলোকময়
যেন পূর্ণিমার চাঁদ ধরা দিয়েছে ঘরে
কিন্তু এখন তোমার ক্ষত
পূরণ করবে কে
ঘরগুলি যেন হয়ে উঠেছে
দীপ্তিহীন অমাবস্যার কালো আঁধারে ঢাকা
অভিমানের বিষ বইছে
   বাড়ির প্রতিটা দেওয়ালে
আর ঝরছে ক্রন্দন তোমার অভাবে
সেই বেলাতে অভিমানের সুরে।
সেইদিন তুমি ছিলে
       ফুলের বাগানে
হাতে একটি তানপুরা
বাজছিল গীত গাইছিলে তুমি
আকাশ বাতাস শুনছিল
গগন উৎসারিত
পাখিরা জানাচ্ছিল অভ্যর্থনা
আমিও তার মধ্যে ছিলাম এক
দিয়েছিলাম শুধু একটি প্রাণভরা হাঁসি।
এখন জীবনটা যেন
      হয়ে গেছে তন্বীহীন।
তুমি আজকে সেই না ফেরার দুনিয়ায়
কী ছিল মোর ভুলটা।
চেয়েছিলাম শুধু একটু লহমা
আর তুমি করে ফেললে অভিমান।
সেই বিষাদ তোমার হৃদয়কে করল জর্জরিত।
চলে গেলে একাকী
আর ফিরলে না
জীবনের দৌড়ে ভাসিয়ে দিলে
      একলা করে।
আর দিয়ে গেলে একঝাক অভিমান।