ওই যে দূর বারন্দায়
হেলান দিয়ে বসা
৮ নং কয়েদি
সবার থেকে বিচ্ছিন্ন
নিজের খেয়ালিপনায়
বসে রয়েছে একাকী।
গুনছে হিসেব তার কৃতকর্মের
করেছিল সে মস্ত বড় ভূল
আজ সেই কর্মের ফসল বহন করছে
ভোগ করছে মাশুল।
কয়েদি হয়ে এসেছে সে
বদ্ধ কারাগারে জীব হয়ে
ভোগ করতে হবে তার সম্বল
বেশিদিন হয়নি এখানে তার পদার্পণ
৮ নং জার্সিটা তার এখন একমাএ পরিচয়।
ছিল তার পরিবার,
ছিল তার আপনজন।
এখন দাসত্বের পাখি হয়ে
কাটাতে হবে বাকি জীবন।
সে যেখানে ছিল ঘরে
আরও ছিল বাকি কয়েদিরা
নেই কোনো যোগাযোগের মাধ্যম
শুধু সময়ে এসে খাবার দিয়ে যায় অপার।
তার উপর পরেছে এখন ভার
কারাগারের হিসেব নিকেষ দেখবার।
কোনোদিন বানানো সকালের নাস্তা
কোনোদিন ঝার দেওয়া কয়েদখানা,
কোনোদিন বানানো দুপুরের রান্না
আবার কোনোদিন রাতের পাহারা।
এটা যেন কয়েদের উপর কয়েদখানা
বিরামের স্থান নাহি আর
শুধু পরিশ্রমেই মরবে ফুটন্ত চিরকুমার।
নিঃসঙ্গতা যেন তার পিছু ছাড়েনা
পূবের দেওয়া ডাক এখন তার হাল ধরেনা।
ছিল সে সংসারে ভালই
কেন বেটা করতে গেলি ভূল।
এখন দাসত্বের দোলায় দোল খাচ্ছে।
প্রাণ যেন হয়ে গেছে কর্কশ
ক্ষণিকের আবেগে ভূল করে
এখন পাচ্ছে শাস্তি।
দাসত্বের কারাগারে পচে মরা
তার জীবনে শুধুই যেন দুর্গতি।
ফুলের ভ্রমরের মত শরীরটা হয়ে গেছে এখন
কোন কূল ভেবে পাচ্ছেনা বাকি জীবনটা
কী করবে তখন।
হিসেবের খাতাটা অনেক বড়
৮ নং কয়েদিই এখন তার জীবন।