ওরে শোষিতের দল
জেগে ওঠ।
ভেঙ্গে ফ্যাল শোষনের দেয়াল।
তোরা কি রক্তে-মাংসে গড়া মানুষ না
তোদের কি স্বাধীনতা নেই
তোরা কি কাপুরুষ? তাহলে নিরব ক্যান?
জেগে ওঠ, প্রতিবাদ কর,
অধিকার প্রতিষ্ঠিত কর।
সেই তো কাক ডাকা ভোরে বেরিয়ে পরিস,
আর ঘরে ফিরিস মধ্যরাতে
সারা দিন তো গাধার মত খাটিস।
তোদের পরিশ্রমের দামে ওরা সুখে থাকে, থাকে উপর তলায় ।
আর তোরা?
তোরা তো পেট পুরে খাবারই পাস না।
তোদের পরনে নেই কাপড়।
আর ওরা তো দামি স্যুট পড়ে, গাড়ীতে ঘুরে।
এর পরও কি তোরা ঘুমিয়ে থাকবি?
তোদের রক্ত দিয়ে হোলি খেলে ওই নরপিশাচরা,
বুক উচিয়ে হেটে যায় ঐ শয়তানরা।
আর তোরা উপভোগ করিস নিরব দর্শকের মতো।
এটাই তোদের দুর্বলতা তোদের পিছুটান।
তোদের জন্যইতো তোরা আজ বঞ্চিত।
তোরা পাস না ন্যায্য পারিশ্রমিক,
তোদের সন্তানেরা হয়ে যায় টোকাই,
ক্ষুধার জ্বালায় নর্দমার বর্জে খুঁজে খাদ্য।
আর ওই শোষক-পিশাচরা কুকুরকে খাওয়ায় দামি খাবার।
ওদের সন্তানেরা লেখা-পড়া কেনে লন্ডন-আমেরিকা -সিঙ্গাপুর
বিবিরা থাকে কানাডার বেগম পাড়ায়
দ্বিতীয় ঠিকানা করে কানাডায়।
সেই তোদের টাকায়।
আর তোদের সন্তানরা?
ওরা হয়ে ওঠে শিশু শ্রমিক, অবাঞ্চিত।
এসব কিছুর জন্য দায়ী তোরা,
দায়ী তোদের নিরবতা।
তোদের থাকার মত নেই কোন ভিটা মাটি
ফুটপাতেই হয় তোদের শেষ গন্তব্য।
< পক্ষান্তরে ওই মানুষরুপি হারামিগুলোর বসবাস মিয়ামি-দুবাই-সিঙ্গাপুর ।
আর চুপ থাকা নয়, মুখ বুঝে সহ্য করা নয়-বেরিয়ে আয়
মুখোমুখি, চোখঅ-চোখি হয়ে বুক ফুলিয়ে দাঁড়া
ভেঙ্গে ফেল শোষনের দেয়াল।