কি চেয়েছিলে তুমি বৃষ্টি না মেঘ
মনে নেই
শুধু মনে আছে এসব কিছুই না
আর আমি অভিধান ঘেঁটে কিছুই পাই না খুঁজে
কি নামে ডাকব তোমায়
বৃষ্টি না মেঘ
এসব কিছুই তো চাওনি তুমি
তোমার চোখের কোল ঘেঁষে
শুয়ে আছে জল ভরা নদী
নদী নামটা বেশ
এ নামে ডাকলে কেমন হয়
ততক্ষণে কপোল বেয়ে নেমে গেছে পুরো নদী
নাহ
অন্য কিছু
অন্য কিছু
তোমার কপালে জ্যোতির প্রলেপ ভেসে ওঠে রোজ
জ্যোতি নামটা বেশ
ততক্ষণে জ্যোতি কপালে কোচকানো ঢেউ
নাহ
অন্য কিছু
অন্য কিছু
তোমার বাদল শেষের রাতের মত ঘন কালো চুলে
জলপ্রপাত আছড়ে পড়ে
মনে হয় সেখানে লুকিয়ে আছে কোন অমরাবতী
অমরাবতী নামটি বেশ
কি হলো কে জানে
দীর্ঘ চুল সংক্ষিপ্ত খোপা হয়ে গেল
নাহ
অন্য কিছু
অন্য কিছু
কি চেয়েছিলে তুমি গোধূলি না সাঁঝ
মনে নেই
তবে সাঁঝ নামটি বেশ
তোমার কাঠবাদামের মত নৌকা চোখে তিমির তিমির
নাহ
অন্য কিছু
অন্য কিছু
তোমার সারি দাঁতে উত্তরফাল্গুনী বসে যায় নিতুই
ফাল্গুনী নামটি বেশ
অধরের চাপে ঢাকা পড়ে গেল চিরচেনা সেই হাসি
নাহ
অন্য কিছু
অন্য কিছু
কি চেয়েছিলে তুমি মেঘনা না ইরাবতী
মেঘনা নামটি বেশ
গালের টোলটি সমতল হয়ে এল
নাহ
অন্য কিছু
অন্য কিছু
কি চেয়েছিলে তুমি লোপা না কাব্য
মনে নেই
কাব্য নামটি বেশ
তোমার দাঁতে উত্তরফাল্গুনী দেখতে পেলাম
সমতল কপোলে টোল ফুটে উঠলো
জলপ্রপাতের মত এলিয়ে গেল চুল কোমর ছুঁয়ে
কাঠবাদাম চোখে ভেসে উঠলো খোলা প্রান্তর
তুমি হয়ে রইলে আমার কাব্য ।