সেই গনগনে বৈশাখে যখন আকাশ থেকে কেটে গেছে মেঘ
তখন তোর সাধ হলো নাইবার
তুই জানিসই না কখন কোন বায়না করতে হয়
আমি জানি এখন তোর খাবারের সময়
নচেৎ শিশুর মত ডুকরে কেঁদে উঠবে ডায়াবেটিস
রূপকথার সাজানো কেবিনে আগুনঝরা হাঁসের মাংস
যা ছিল তোর পছন্দ
গোগ্রাসে কেমন চলে যাচ্ছে গলার গভীরে
তবু তোর সাধ নাইবার
কাছে নেই তালপুকুর
নেই কোন সরোবর
কোথায় লুকোবি তোর শরীর
চারিপাশে ওৎ পেতে আছে হিংস্র সব চোখ
লোভ কেমন বেয়ে পড়ছে মনিগুলো থেকে

কেমন বুঝেছি আমি
হয়তো আমি কখনো ছিলামই না তোর মাঝে
ছায়ার মত কেবল ঘুরেছি ঢের
তোর বায়নার পিছু পিছু
তোর কি চাই
তোর কি পছন্দ
কতটা আনন্দ কতটা বিষাদ
কতটা হাসি কান্না
সাত সমুদ্দুর ঘেঁটে এনেছি অপরাজিতা
তোর যা পছন্দ
কখনো তোর একটা জল ভরা আকাশ চাই
গুণ টেনে এনেছি শত সহস্র মেঘ
কখনো তুই স্রোতস্বিনী চাইলি
চোখের জলের অগাধ প্রবাহ দিয়েছি তোকে
চাইবার আগেই বুঝে নেবার
শত শর্ত ছিল না আমাতে
ঠোঁট খুললেই বুঝে নিতাম
কোন বায়না মিশে আছে তোর কন্ঠে
এমনভাবে তোকে বুঝতে
পারেনি কেউ, পারবেনা কখনো

কতটা সময় আমি কাটিয়েছি
তোর তীব্র বায়নার আঙিনায়
তখনও স্বপ্নের ঘোর কাটেনি আমার
কেবল মনে পড়ে তোর বায়নাগুলো
কতগুলো আমি রেখেছি
কতগুলো শুকিয়ে গেছে
তোর অনিচ্ছার মরুভূমিতে
আমার আপ্রাণ ইচ্ছার কোন ঘাটতি ছিলনা কখনো

তবে কেমন বুঝেছি আমি
হয়তো কখনো আমি ছিলামই না তোর মাঝে
ছায়ার মত কেবল ঘুরেছি ঢের
তোর বায়নার পিছু পিছু
আর তোর বায়না গুলো সাজিয়েছি থরে থরে

এখন কেবলই মনে হয়
তোর মত ভুল মানুষকে ভালবেসে
কেটে গেল কতটা সময়
নষ্ট প্রেম কেমন নষ্ট করে দিল
৩৬৫ দিনের খতিয়ান।

তবু হৃদয় ফুঁড়ে মরীচিকা বেরোয় না
জন্মে না আজন্ম ঘৃণা
আধুনিক লাইব্রেরীর বইয়ের মত থরে থরে
সাজানো থাকে গভীর মমতা
হৃদয়ে মোচড় কাটে কেবল।