তুই চলে যেতে চাইলি তোকে চলে যেতে দিলাম,
খড়ের ছাউনিটা ভাসিয়ে দিয়েছি উর্বশী বাতাসে
এরপর কোন ঘর আর বাঁধেনি আমায়
লোকে বলে আমার নিস্তব্ধ করোটিতে
কোন স্থানাঙ্ক নেই,
নেই তাহলে,
তাই বোধকরি
তোর ধারালো ঈর্ষায় কোপানো
আমার হৃদয়ের নোনাভূমি।
একদা ছুঁড়েছিলাম
বাতাস ঘুড়ি,
স্পর্শ করেছিল তোকে
সেই অবসন্ন গোধূলিতে,
অনন্ত নাটাই,
যা ছিল অবশিষ্ট ,
আমার হাতের চেটোয়,
অনেক খুঁজেছি তোকে,
অগাধ সমুদ্রের জলে,
গৌরবের পৃথিবী তলে,
কিংবা মায়া হরিণীর দলে
পাইনি আজো,
আমরা কি পৃথিবীতে এসেছিলাম কখনো?
আমি এখনো নিশ্চিত নই,
জনশ্রুতি শুনি তোর অশরীরী দেহটা,
ভেসে যাচ্ছে
আমার চোখের তারায়,
দিগন্তে পড়ে আছে অষ্টাদশী রাত,
জমাট বেঁধে তৈরী,
নক্ষত্রের সাথে দ্বন্দ্ব বহুকাল যাবৎ,
নিশুতি শকুন চক্কর দেয়
চুলহীন বটগাছটা ঘিরে,
হিজল গাছে বসে থাকে নীরব কাকাতুয়া,
আসবো বলে কত রাত যে এলো না
এই ঝিলসিড়িতে,
সময় চলে গেল,
অপেক্ষা রইলো না আর,
একদিন খুঁজে পাবো তোকে
কোন নিবিড় অবেলায়,
যেদিন ফিরে যাবে বসন্ত
যেদিন পাহাড় থেকে ছলকে বেরুবে
এক অজানা নদী,
সেদিন খুঁজে পাবো তোকে,
তখন গড়িয়েছে বেলা ঢের
এই ঝিলসিড়িতে।