এক কালো মেঘের সাঁঝে
দূরন্ত বর্ষায়
তোমার ওড়না দিয়ে আমার বুক ঢেকেছিলে
পাছে বুকে ঠান্ডা বসে যায়
বুকটায় ঠান্ডা এতটুকু আঁচড় কাটেনি জানো,
আঁচড় কেটেছিল অন্য খানে
যেখানে তোমার ওড়না পৌঁছায়নি কখনো
শালিখেরা তখনও ঘুমায়নি
দাঁড়কাকেরা তার স্বরে চীৎকার করছিলো মেঘের কাছাকাছি
আমি প্রাণপনে ডেকেছিলাম আঁধারকে
যাতে লুকোতে পারি আমার হৃদয়
যেখানে সহস্র আঁচড়ের দাগ,
কত লগ্ন পেরিয়ে গেছে
কত ধান মাড়াই হয়ে গেল
ঘোড়সওয়ারীর মত বিদ্যুৎ গতিতে
সহস্র প্রহর চলে গেল ওপারে
আঁচড়ের দাগ মিলিয়ে যায়নি আজও
যা অতি যত্নে তুমি দিয়েছিলে আমায়,
আজও আমি ঘুমোতে পারিনা
ঘুম আসেনা
পাতা দুটি কখনো এক হয়েছে কি
তখনই ধারালো নখগুলি আমার চারপাশ ঘিরে ফেলে ,
তুমি নিরুদ্বেগে প্রতারনার ছুরি নখে বিদীর্ন করছো আমার হৃদয়,
রক্তাক্ত করছো আমার দুর্দমনীয় ভালবাসাকে,
কি দেই নি তোমায়?
আমার আমিকে দিতে এতটুকু ছলনা ছিলনা আমার
তবু আজো জনশ্রুতি শুনি
আজো নিশুতি রাতে রাতের ক্রন্দন শুনি
আজও আমি ঘুমোতে পারিনা
ঘুম আসেনা
আঁচড়ের দাগগুলো ডেকে বলে
সে জীবনের দেখা তুমি পাবে না কভু
যে জীবন হারিয়ে ফেলেছে ভালবাসার কষ্টি পাথর,
যে জীবন খেই পায়নি মিথ্যার প্রান্তরে
সে জীবনের দেখা তুমি পাবে না কভু,
কত বন্দী বাতাস ছাড়া পেল
কত ধ্রুপদী আকাশ পরিস্কার হয়ে গেল,
আঁচড়ের দাগ শুকোয়নি আজও
যা অতি যত্নে তুমি দিয়েছিলে আমায়।