মাগো- ওরা আমার কাছ থেকে
কতদিন আর বেঁধে রাখবে তোমাকে?
আমি যে আজ বড় ক্লান্ত
আমি যে লাশ হয়ে আছি জীবন্ত।
কত শত বছর, কত শত প্রহর
পান করি না অমৃত তোমার বুকের,
তোমার জন্য আমার এ হৃদয় খাঁখাঁ মরুভূমি
আর যে পারছি না আমি।
প্রতিবারই তো পাঠাই আমার হয়ে প্রতিনিধি
বড় ইলিশ, পিঠাপুলি, গুড় পাটালি, আরো কত কি!
শুধু তোমার উপর আমার নায্য অধিকার নিতে
মায়ের স্তন পান করতে।
ওরা কি করে জানো মা?
সব কিছু রেখে হাতে দেয় শূন্য পুটলিটা।
আমি খুব যন্ত্রনা পায় ওদের পশুর মত স্বভাবে
মৃত প্রায় হিংস্রতার প্রভাবে।
ওরা তোমার কোমরে শিকল পরায়
আমাকে রেখে নাক ডুবিয়ে খায়।
আমি কিছু বলতে পারি না
কেন জানো তো মা?
ওরা তোমার বুকে ডুব দিয়ে গঙ্গা স্নান করে
ভগবানকে খুশি করে,
আমার তো পুন্য স্নানের স্থান নেই
কী করে বলো ভগবানকে ঘুষ দেই?
ওরা বলে তোমার অমৃতরস পান করতে-
আমাকে শর্ত মেনে চুক্তি করতে,
সেটাও তো করেছিলাম
অধিকার পায়নি।
দেখে যাও তুমি-
গঙ্গা ছেড়ে এপার পদ্মায় এসে,
কিভাবে আছি শুকনো বালুর পরতে
মরা ঝিনুক শামুকের বেশে।
রচনাকাল: ০৭।০৯।২০১৭ ইং
দৈনিক ঘাঘট, ২৫ জানুয়ারি ২০২১ ইং