যদিও রয়েছি আমি দীর্ঘতেইশ বছর ধরে
তোমাদের নীড়ে রঙিন মানুষের অবয়বে,
জানিনা কতই বা থাকব আর জীবন্মৃত শ্বাসে!
এ ধরার বুকে, সুখে-দুঃখে, সঙ্গী-সাথী হয়ে।

হয়তো সহসায় ভেসে যাবো কোন এক দুপুরে
অথবা বেলাশেষে শূন্য হাতে নিভু নিভু করে!
নিভে যাবো গোধূলির রঙ নিয়ে তারাদের ভিড়ে
এক হয়ে হারিয়ে যাবো মেঘে-মেঘে, সুপ্ত নীলে!

নিযুত কোটি বায়ুশূন্য আত্মার রাজ্যের যাত্রী হবো
তোমাদের নীড়ে পুঁতে রাখা নাড়ির সম্পর্ক ছিঁড়ে!
বিষম ব্যথাতুর চোখ নিয়ে একদিন লুকিয়ে যাবো
অন্তরীক্ষে ভাসা কমল অম্বুদের শুভ্রতা ছুঁয়ে ছুঁয়ে।

শত মহাকাল পেরিয়ে অনন্ত-মহাকাল হবে রচিত
লক্ষ লক্ষ সিন্ধু-মেসোপটেমীয় সভ্যতাও লুকাবে-
ধূলি-মাটি-বালুর অতল গর্ভে যুগ হতে যুগান্তরে,
তবুও পাবে না আমায় সেই ঘোর অমানিশায়।

আবিষ্কৃত হবো অন্ধকার দেশে আমি অবশেষে,
শীতের ভোরে ধানের শীষে সিক্ত কুয়াশার মতো
তোমাদের শত জোড়া চক্ষু ভিজিয়ে নোনতা জলে,
আমার নীরস নয়নপাতা মুদিবে ঠিক অভিসারে।

নিমেষেই ম্লান হবে আমার সমস্ত অহং-অস্তিত্ব
তারপরও আমায় মনে রাখবে শত জনম ধরে?

রচনাকাল: ০৬।১০।২০১৭ ইং