শিরোনামে আসে পত্রিকায় অনেক কিছু
একই সাথে, এক কলামে সম্পর্ক বন্ধু-বন্ধু,
অন্যকলামে অত্যাচার নির্যাতনের করুন চিত্র
এসব নিয়েই নির্বাক পাঠক থাকে মত্ত্ব।
কিছু আবেগী দীর্ঘশ্বাস কিছু কষ্ট
কিছু ত্রুটি-বিচ্যুতির প্রকাশ স্পষ্ট।
কিছু রাজনৈতিক ভাষা ব্যবহারের দারুন চমক
ব্যস আর কী? সবই ঠিক ঠাক।
এমন কিছু শিরোনাম পড়ে চোখে
ইচ্ছে করে চায়ের কাপে চুমুক দিয়ে
কাগজের পাতাগুলো স্বগ্রাহে উল্টাতে।

কিন্তু ভীষন অবাক হই, যখনই প্রত্যক্ষ করি-
আগুন দেওয়া হচ্ছে বাংলাদেশী কৃষকের ফসল
জোরপূর্বক অবৈধভাবে ভূমি দখল;
নিরীহ তরুনের অত্যাচারিত ল্যাংটা ভিডিও
সুপরিকল্পিতভাবে নদীর গতিপথ পাল্টে-
বন্ধু দলের দ্বীপ দখলের চিত্র।
যখনই চোখে আসে তরতাজা তরুন
প্রিয় বন্ধুর বুলেটে মৃত্যুকে করেছে বরণ,
বিনিময়ে মিশে যায় বাতাসে
মায়ের বুকফাটা চিৎকার করুন বাণী হয়ে।
যুব প্রজন্মকে ধ্বংসের অপ্রতিরোধ্য হাতিয়ার
অসংখ্যা ড্রাগ ইয়াবা হিরোইন ফেন্সিডিলের-
মত; ছেড়ে দিচ্ছে বন্য-হিংস্র প্রাণীর বেশে,
আমারই সজিব সোনার বাংলাদেশে।
                                    
আরো অবাক স্তব্ধ, মর্মাহত, শোকাহত আমি!
যখন অপর পাতায় চোখ রাখি এ...কী?
একাত্তরের বন্ধু ভায়ের নির্মম নির্যাতনে
ঝুলে আছে কাঁটাতারে-
নিরীহ ফেলানীর রক্তেভেজা নিথর দেহ।
তখন অন্তর ফেটে জল আসে চোখে
আর জেগে ওঠে হৃদয় মাঝে,
এটাই কি আমাদের স্বাধীনতা?
আর নির্মিত হচ্ছে ফেলানীর রক্তে আঁকা-
স্বাধীনতার সীমান্তরেখা?

রচনাকাল: ১১।০১।২০১২ ইং
প্রস্ফুটিকার দেয়াল পত্রিকা কাদামাটি ২০১২ ইং
দৈনিক ঘাঘট, গাইবান্ধা, ০৯ জানুয়ারি ২০২১ ইং