গাঢ় আচ্ছাদিত অম্বুদমালা
অনাবরত ঘুরপাক খাচ্ছে আষাঢ়ের আকাশে
থেমে থেমে বৃষ্টির প্রগাঢ়তা
যদিও মুগ্ধ করছে সমুদ্রের ফেনিল গর্জনের মত।

হঠাৎ ম্লান হলো মুগ্ধতা
দৃষ্টিতে দৃশ্যমান ছাদের কার্নিস বেয়ে
মেহগনির ছায়াঘন বৃষ্টিস্নাত পাতার আড়ালে
নরম নব্য ডালের ফাঁকে পাখির নীড়।

বিষন্ন চোখ তুলে মা পাখিটি
বুকের খাঁচায় জড়ানো ছোট্ট দুটি ছানা
মৃদু বাতাসে দুলতে থাকে মেহগনির শাখা
আষাঢ়ের বিদঘুটে বর্ষন পাখির নীড়ের উপর।

খড়কুটো চুঁয়ে বৃষ্টির ফোটা
ভিজিয়ে দেয় ধূসর পালকজোড়া
ডানা ঝাপটিয়ে ঝেড়ে ফেলে
আবার বাচ্চাদের জড়িয়ে থাকে মা।

আষাঢ়ের বৃষ্টিতে মায়ের এ উষ্মতা আর
মলিন চেহারা, দুচোখের বিশ্বস্ত চাহুনি
আমাকে কবি না বানিয়ে ছাড়লো না,
পাখির নীড়ের উপর আমার চোখ যায় আবার।

রচনাকাল: ২০।০৬।২০২১ ইং
দৈনিক জন্মভূমি, ২৬ জুন ২০২১ ইং