বিশ্ব কি দেখেছো, নদীর জল কেমন করে শুকায়?
জলে জলে বাঁধ দিয়ে কারা অধিকার গিলে খায়?
আধিপত্যের বিষন্নতায় কেটে যায় বেলা-অবেলা,
পথের বুকে বসায় দখলের সাপলুডু খেলা।
তুমি কি শুনেছো, হাওয়ার কণ্ঠে ভাঙা সুর?
মাঠের সবুজ ভরা বুকেও কেমন করে গুড়গুড়।
কৃষকের ঘামে ভেজা জমি হয় কারো মানচিত্র,
সরিষার ফুলে ফুটে ওঠে আধিপত্যের শত্রু-চিত্র।
তুমি কি দেখেছো, সাগরের ঢেউ কতখানি কার?
জাল ফেলে কারা যেন খায় মাছের অধিকার।
উপকূলের গাছগুলোও জানে পরাধীনতার গন্ধ,
স্বাধীনতার ছায়াতেও ঢোকে বিভেদের দ্বন্দ্ব।
তুমি কি জানো, এদেশের মাটি রক্তে কেন লাল?
বায়ান্ন, একাত্তর, চব্বিশেও ওড়ে রক্ত নদীতে পাল।
তারপরও কি রশ্মি বাঁধবে স্বাধীনতার গলাতে?
নাকি, আবার বুক পাতবো, তোলপাড় হাওয়াতে।
আধিপত্যের ছায়া তুমি আর কতদিন থাকবে?
বাংলার মাটি কি তবু দেবে, সবুজে আঁকড়ে রাখবে।
তুমি দখলের খেলা শেষ করো, বাঁচতে দাও,
এ মাটি স্বাধীন, তাতে মুক্তির গান বাজতে দাও।
রচনাকাল: ২৮।০১।২০২৫ ইং