তুমি কাঁদছো কেন হে বঙ্গজননী?
ভয়ংকর মৃত্যুর মিছিল চলছে চতুর্দিক
তোমার সন্তানদের জীবন প্রদীপ চিরতরে নিভিয়ে
শয়তান'রা দোপাটি দাঁত বের করে
খিল-খিলিয়ে অট্টহাসি হাসি হাসছে!
তুমি কাঁদছো কি সেই জন্য?

তুমি কাঁদছো কেন হে বঙ্গজননী?
আজ ঢাকা কুমিল্লা নোয়াখালী সুনামগঞ্জ
বরগুনা ভোলা কুষ্টিয়াসহ সমগ্র বাংলায়
রক্তস্নাত লালবর্ণে সবুজকে ম্লান করেছে!
কাপুরুষত্বের করালগ্রাসে গিলে ফেলছে বাংলাদেশ।
তুমি কাঁদছো কি সেই জন্য?

তুমি কাঁদছো কেন হে বঙ্গজননী?
ছাপ্পান্নো হাজার বর্গমাইল বিষাক্ত শকুনের পাল
ছিঁড়ে ছিঁড়ে খাচ্ছে মানচিত্রের এপাশ ওপাশ।
যে মানচিত্রের লাল সবুজ এক টুকরো কাপড়
অক্ষুন্ন রাখতে তাজা রক্তের ফেনা গর্জন তুলেছে!
তুমি কাঁদছো কি সেই জন্য?

কই আমি তো কাঁদছি না আর
আমি দিনের আলোতে প্রতিনিয়ত ভাই হারাচ্ছি
আলো-অন্ধকারে বোনকে হারাচ্ছি প্রতিদিন।
আমার তো কান্নায় অশ্রুসিক্ত হয় না
শুধু আগুনের লেলিহান রক্তাক্ত শিখা
চক্ষুগর্ভে পুড়িয়ে মারে নাপাক শূয়রের শাবক।

শোন হে মহিমান্বিতা বঙ্গজননী;
সেন্টমার্টিন্স হতে তেতুলিয়া, জাফলং হতে সুন্দরবন
আজ তোমার সূর্যসন্তানেরা আওয়াজ তুলতে শিখেছে,
শেষ বিন্দু রক্তফোঁটা সচল থাকা অবধি
জীবন দিতে যেমন শিখেছে, জীবন নিতেও শিখেছে
তুমি কখনোই নির্লিপ্ত-উদাসীন পরাজিত ভেবো না আমাদের।

রচনাকাল: ২৩।১০।২০১৯ ইং
দৈনিক চাঁপাই দর্পণ, ০৮ জানুয়ারি ২০২১ ইং