রক্তনদী পেরিয়ে যেদিন এসেছি তোমার কোলে
প্রথম হেসেছিলে সেদিন চব্বিশটি বছর পরে
জন্মের পূর্বে আমি, পেয়েছো শুধু লাঞ্চনা-বঞ্চনা
নয়টি মাস ছিলে পোয়াতী কে দেখেনি সেই দৃশ্য?
দীর্ঘ নয়টি মাস তোমার আকাশে ওঠেনি চন্দ্র
সূৃর্যও দেয়নি কোন আলো;
দীর্ঘ নয় মাস তুমি ছিলে নাপাকি পাঞ্জাবীদের- আগুনে পুড়ে জ্বলন্ত ছাই, পৃথ্বীগর্ভে ভষ্মপ্রায়
তবুও তুমি হাল ছাড়োনি জন্ম দিতে এ আমায়।
দীর্ঘ নয়টি মাস পোয়াতী শরীরে প্রতিটি কণা, শিরা-উপশিরা জুড়ে চালিয়েছিলো ধ্বংসলীলা
অন্তঃসত্ত্বা কালে তুমি যখন যন্ত্রনায় কাতর
তখনো-তখনো চলেছিলো পাশবিক নির্যাতন।
আমার পূর্বে জন্ম নেওয়া ভাইদের করেছিলো নির্বিচারে নৃসংশ হত্যা;
বোনের ললাটে যুটেছিলো বিষাক্ত পশুর থাবা
রাতদিন হয়েছিলো পড়ে পড়ে পালাক্রমে ধর্ষন
পায়নি ভোর খোলেনি দ্বোর দেখেনি আলো বর্ষন।
বিভৎস নরক যন্ত্রনা পেরিয়ে জন্ম দিয়েছো
মাতৃত্বের আঁচলে আগলে রেখে এ মাটি পরে;
শিখিয়েছো দেশ ও মাটি কী? দেশপ্রেমের অর্থ কী?
তবুও তোমার কিছু অবাধ্য সন্তান বিষ ঢেলে
গণতন্ত্রকে দিয়েছে ফাঁসি, অবরুদ্ধ রাজপথে-
সাধারণ বিষে ব্যথাতুর;
আমার তো মনে হয় পাকি জাহান্নাম হতে আজ
নিমজ্জিত যেন হাবিয়ার অন্ধকার তলদেশে
ভেবোনা আছি বেঁচে, জানি না কী হবে অবশেষে।
রচনাকাল: ২৮।১০।২০১৮ ইং