এক--দ্বিতত্ব
মেঘের মেয়ের ঘুম্ ভাঙ্গলো
জল ঝরা চোখে।
জলের চোখে নাকি জল মাখেনা।
সূর্যের তাপে মাটি সিদুরে রঙে পাল্টেছে।
আর জল?
দিব্যি মেখে আছে ও পোড়া চোখে।
উত্তাপ আগুন মাখিয়ে তার চোখে
সুরমা লেপেছে।
তার চোখের বর্গক্ষেত্রে মেঘ রং
স্হায়ী ঘর বেধেছে।
আর জানোই তো-
মেঘের বুকেই তো টলটলে জল।
দুই- আদর্শবাদ
হাতের জোর কষুনিতে উড়নাটা
মাজায় বাঁধা,
আঁচল উড়াবার দায়ে
সাজা হলো বাতাসের।
বেকসুর খালাশ পেলো গোলাপ কাটা
সম্ভ্রান্ত প্রজাতীর বলে...
উড়না টানা-হেঁচড়ার অভিযোগ
আমলেই এলো না।
চুরমার হয়ে যাওয়া মনে যোগ-ছড়ার হিসেবী ঢেউ
দুয়ে দুয়ে পাঁচ
আমার তালগাছ।
তখনো ,...
নাচছে জিভ ফাঁড়া প্রানীটি
আনন্দের সুরে।
তিন- নন্দনতত্ব
তত্ত চায়ের কাপ
তৃষ্ণার্ত ঠোঁটে ল-ম-বা চুমুক
সুড়ুৎ বা ফুড়ুএৎ শব্দে সাড়া পাশ টেবিলে
গরম কাপেই ঠোঁট রেখে কুঁচকানো ভুরু
লম্বা দৃষ্টিতে ....
বাহ চাদ সুন্দর-দারুন উপমা-
হাসি ঝুলছে ঠোঁটে।
এক নিমিশেই মেপে নিই থারটি থ্রী থারটি ফোর ,টুএনটি সিক্স-দারুন তো!
শিখে গ্যাছি নন্দন তত্ব।নান্দনিক শিল্প।
আহ! চায়ে চিনিটা বেশিই হয়েছে
তৃপ্তির উতসাহে ফুড়ুত-ঢক্কাস।