অব্যয় এর দেয়াল টপকে অনুপ্রাসের দীঘল সীমা
ন হন্যতের ঘোর মায়া/মাঠ...

পুনশ্চ...
ভরাট গলায় আবৃতি করি রাত
কাজলাবৃত রংধনুর মেরুণ প্রভা
বৃষ্টির রুমঝুম
চোখবুজে...
সময়ের ভাঁজ খুলে অপিনিহিত এর নুপুর
গান্ধারী ঠাঁট

এ বৃত্তের পরিধিতে সর্বনামের সতিচ্ছেদ
অনুশাষনের ক্রান্তিরেখা
অব্যয়ের দেয়াল আকাশ ছুঁয়ে আছে

কেঁপে ওঠে তারাবন
কালিক সময়ের বর্ণমালা পুড়তে থাকে হেমাগ্নিতে
পুড়ে যায় রাতের খোয়াব
খেয়ালী অনুপ্রাস

বেখেয়ালী গচ্ছিত চিঠি
গত শতাব্দির চৌকাঠ পেরিয়েই জমাছিল যা সিঁড়িপথে

আমার ছায়াদের ছায়া দেখি কেঁপে যাওয়া হাওয়ার
ছাই রঙা মেঘের কাজলী আঁচল ঢেকে ফেলে তোমারামার গল্পের চিঠি

কিছু গল্পদের টিকে থাকতে নেই
ঠিকানাও মুছে দিতে হয় বলো

বিশেষ দ্রষ্টব্যে লেখাছিল

কিশোরী চাদের ক্ষেতে ফড়িং ছায়া
ডাহুকী শোরগোলে চ্যুইয়ে পড়ে জোছনা

এখানে ধাপে ধাপে নেমেছে ঠিকানা
কলমিভিটের মায়া

কুসুমের দেওয়ালে ডাহুকী তৃষা
ফড়িঙের হুটোপুটি

ওম ভাসছে পিছলা হাওয়ায়

অবশিষ্ঠ:-


কুসুমের ঘরে ফিনফিনে বৃষ্টি
খোয়াব উড়ছে ছলকে ঝলকে
কাঁপছে খোয়াবী খেয়া

ভিজো
তবে মাথা গুজার অবসর নিও

পর্দার অন্ধকারে পত্র-পল্লবে জুড়ে দিও  জন্মকুষ্টি

আমাদের ভালবাসার স্বাক্ষী থাকুক অন্তত


*এ হস্তলেখার আর কোন চিঠির পাঠোদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।



(যেহেতু প্রাপক প্রেরকের নাম ঠিকানা উল্লেখ নাই,তাই পড়া শেষে এ চিঠির যদি কেউ মালিকানা দাবি করেন তাহলে চিঠির সর্বশেষে  লিখিত একটি শব্দ প্রমান হিসেবে উল্লেখ করতে হবে। যে শব্দটি এখানে উল্লেখ করা হয়নি)