এ সময়ে অনেক কে বলতে শুনেছি নিজের জন্য কবিতা লেখেন।এটা মিথ্যাচারিতা।ঐ কবি ডাহা মিথ্যুক।
যারা এ সময়ে কবিতা লেখেন, তারা চাই পাঠককে ভাল লাগাতে।
এ প্রসঙ্গে বিনয় মজুমদারের এ কথাটি স্মরণ করতে হয়, কবির চরম উদ্দেশ্য পাঠককে ভাল লাগান,বোঝানো নয়।
কে কবিতা লিখবেন?কে লিখবেন না?এ সময়ে এটা স্পষ্ট।আপনাকে কেউ দিব্যি দিয়ে বলেনি কবিতা লিখতে হবে।বলতে পারেন অবসর কাটাচ্ছেন।তা অবশ্য ঠিকঈ।কবিতা খারাপ কিছু না।তবে আপনি যদি ছন্দ না জানেন(ছন্দ মানে মাত্রা বা অন্তমিল নয় বরং শব্দের সুর আর ঐ সুরের সমন্বয়ে বাক্যে প্রবাহিত বিন্যস্ত স্বরের ঝংকার)চিত্রকল্প,ভাব,রূপক,উপমা(অবশ্যই অভিনব বা নিজস্ব)ব্যবহার না জানেন,আপনার লেখা যদি পাঠকের অনুভব কে নাড়া না দেয়,স্পর্শ না করে,কিংবা পড়তে পড়তে পাঠক তার অনুভব,চিন্তায় যদি আলাদা কিছু না পাই তাহলে আপনি কবিতার নামে যা লিখছেন তা কতটা যুক্তিযুক্ত ভাবতে হবে।
সাহিত্যের একটি বড় বৈশিষ্ঠ্য সময়কে ধরেরাখা,যে সাহিত্য তার সময়কে ধরে রাখতে পারেনি তা খুব দুর্ভাগ্য,দরিদ্র সময়।
আপনার লেখা পড়ে যদি গত শতকে ফিরে যেতে হয় তাহলে আপনি এ সময় কে দরিদ্র হতে সহযোগীতা করছেন।একটু অন্যরকম,আলাদা,মানে আপনার মতকরে লিখুন।তা অন্তমিলে বা অন্য যেকোন ভাবে...
চলবে...
( বিতর্ক কাম্য নয়। মতামত দিন)