স্বপ্ন যখন মেঘের সওয়ার।
গুমট হাওয়া্য়।
ভর করে।
মেঘ ঝরা সে মেঘ কালো রঙ।
উঠোন দাওয়ায়।
ঘুম ঘরে।
..... বুকের বাড়ি শিরোনামে আসরের কবি ওনীল ওসমান সিমন এর কবিতা থেকে
কবিতাংশটি উল্লেখ করছি অন্তমিলের ভ্যারিয়েশান এর জন্য।এখানে ষে অন্তমিল ব্যবহার করা হয়েছে ছন্দ কি সেটাই?নাকি শব্দের গাথুনিতে শব্দ থেকে শব্দের শরির বেয়ে বাক্যে বিন্যাসিত বহমান সুরের ঝ্ংকারই ছন্দ?
প্রত্যেকটি শব্দের যে নিজস্ব টিউন আছে সে টিউনের সাথে অন্য একটি শব্দ ও তার টিউনের সাথে সামন্জস্য রেখে গ্রন্থিত বাক্যে যে সুরকে প্রবাহিত করা হয় সে সুর ও তার চলার ভঙ্গিই ছন্দ।
আমরা গুলিয়ে ফেলি। অধিকাংশেরই প্রচলিত বা অভ্যস্ত ধারনা মাত্রা বা অন্তমিল/মধ্যমিল /পর্বমিল বা যে কোন নির্দিষ্ট শব্দের সাখে শব্দের মিলকেই ছন্দ ভেবে বসি।
আর এটাই আমাদের জানা এবং বিশ্বাস।
আমাদের অধিকাংশের বিশেষ করে ভারতীয় উপমহাদেশে বসবাসকারী জনগোষ্ঠীর বৈশিষ্ট প্রথা/বিশেষ ধারনাকে আকড়ে টিকে থাকা ও টিকিয়ে রাখার প্রচেষ্টা করা। প্রচলিত ধারনার ব্যতিক্রম কিছু দেখলেই নাক সিটকানো অথবা সব ধ্বংশ হয়ে গেল/ রসাতলে গেল বলে বিরোধীতার খাতিরে বিরোধীতা করা।প্রয়োজনে যুদ্ধ ঘোসনা করে
সংঘবদ্ধ হওয়ার প্রচেষ্টা।
মুলত একটা সময় পর্যস্ত আমরা টিকে থাকলেও এক সময়ে আমাদের মেনে নিতে হয়।আমরা মেনে নিই।
বহু নজির আছে এর।
এক সময় মানুষ জানতো সুর্যের পশ্চিমে উদয়,পুবে অস্তের কথা। কিন্তু আজ?
না এ জানার জন্য আমরা দায়ী নই। কেননা আমাদের যাবতীয় জানার বা জ্ঞানের মাধ্যমে আমরা ঐ জানাকে পোশ মানিয়ে নিজের ভেতর গ্রন্থিত করেছি অথবা জ্ঞানের কাছে দাসত্ব স্বীকার করেছি।লালন করছি।
তাহলে?
ছন্দের প্রচলিত ধারনার ক্ষেত্রে সেই একই অনুসঙ্গ দায়ী।
আমার বোধগম্যের দৈনতা যে আমি বুঝতে পারিনা এ যাবতকাল এখানে ছন্দের নামে যত আলোচনা হয়েছে তা মুলত প্রচলিত মাত্রার আলোচনা।অথচ আমরা সেটিকেই ছন্দের নামে চালিয়ে দিয়ে দিব্যি শমসেরী ঢেকুর তুলছি।আর পাঠকও সাবাসি তালি দিয়ে আলেয়ার আলোয় ঝলকিত হচ্ছেন।
আমি বুঝতেই পারিনা যারা অন্তমিল বা মাত্রা গোনাকেই ছন্দ হিসাবে বোঝেন তাদের ভুলের পরিমান কত।
মুলত আমার বোঝা হলো" অন্তমিল ছন্দ নয় বরং ছন্দ লয়ের সমতা বা ধারাবাহিকতা রক্ষার একটি প্রচলিত একক।"
আর "মাত্রা ছন্দের বাধ যা দিয়ে সুরের গতিকে ধারাবাহিকতা, গন্ডিবদ্ধ করে নির্দিষ্ট বৈশিষ্টে উপস্থাপন করা।"
আমি আবারো লিখছি অন্তমিল বা মধ্যমিল বা যে মিলই হোক না কেনো তা অবশ্যই ছন্দ নয় তেমনি মাত্রাগোনাও ছন্দ নয়।
ধারনার ভুল অসংগতি থাকলে যৌক্তিক এবং গ্রহনযোগ্য ধারনার ও ব্যাখ্যায় এটা পাল্টে সে ধারনাকে গ্রহন করতে একটুকু দ্বিধা নেই।
কবিতা ও কবির জয় হোক।
(গঠনমুলক মন্তব্য (স্বপক্ষে বিপক্ষে) সাদরে গ্রহনীয়)।
( অযথা বিতর্কের প্রয়োজনে মন্তব্য নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে।)
(এডিট ১৩;৯;২০১৮ ৮:৫৬মি