আমি সদ্য কিশোরী,বয়স কতই সবে মাত্র ষোড়শী।
কত শত স্বপ্ন আর রঙিন পৃথিবী,স্বপ্নীল জগতের হাতছানি।
বিধাতা যেন নিজ হাতে গড়েছে আমায় সৌন্দর্যের দেবী করে।
মায়ের নয়নের মনি,বাবার রাজকন্যা আর বড় ভাইয়ের আদরের পুতুল।
আমি যে ভালো লাগার ভালোবাসার প্রতিমা।
আমার সব কিছুর পর ও আছে অন্য একটি নাম,মেয়ে মানুষ।
একটা নরম মাংস পিন্ডের শরীর কোন কোন নরপশুর পুরুষদন্ড কামনা জাগানোর শরীর।
সুগঠিত কোমর যা আমার কাপড়ের ভারি ভাজ ভেদ করে হায়েনার দৃষ্টিতে ধরা পরে।
আমি সদ্য কিশোরী আমার মুখে কি এত কঠিন কথা মানায়।
আমার স্তনযুগল যা পান করে প্রাণ প্রায় মানব শিশু,তাও তো কামুকতার অন্য নাম।
কি বলছি এসব,কেনই বা বলছি????
সত্যি তো কেন বলছি আমি এ সব?
আমি তো কিশোরী আমার মুখে কী এমন কথা মানায়।
আমি তো মায়ের পবিত্র ফুল,ভাইয়ের আদরের বোন আর বাবার রাজকন্যা।
না,না আজ আমার সব পরিচয় মুছে গেছে,একটি নতুন নামের কালির প্রলেপে।
আমি আজ কলঙ্কিত সমাজের বুকে,মেয়ে থেকে হয়ে গেলাম ধর্ষিতা।
আমার শরীরে হায়েনার নখের আঁচড়ে ক্ষতবিক্ষত,স্তন যুগল চিঁড়ে কুঁড়ে নিয়েছে নরপশুর ধারালো দাঁত।
আমি কলঙ্কিনী,ধর্ষিতা আমি যে সমাজের বোঝা।
আমি তো চাই নি হতে ধর্ষিতা,কত শত স্বপ্নকে মাটি চাপা দিতে।
আমি ও চেয়েছিলাম স্বপ্নের বাসর সাজাতে,কারো ঘরের ঘরণী হতে।
মাতৃত্বের স্বাদ গ্রহণ করতে,নারীত্বের পূর্ণতা পেতে।
তবুও কেন আজ ধর্ষিতা আমি,কেন কেন কেন????
আমি মানুষ নই,নারী নই,মেয়ে নই,বোন নই,স্ত্রী নই একটাই পরিচয় একটাই নাম ধর্ষীতা।
স্বপ্ন নেই,আশা নেই,ভালো লাগা,ভালোবাসা নেই আমি যে ধর্ষীতা।