হঠাৎ কলম থেমে যায়,অন্তর আত্মা কেঁপে উঠে।
দাঁতে দাঁত চেপে যন্ত্রণায় কুকরে যাই,নিঃসঙ্গ রাত।
নিস্তব্ধ একা,ভীষণ রকম অস্পষ্ট অস্তিত্বের অস্বস্তি ছুয়ে যায়।
প্রিয় মুখ ঘুমে অচেতন আমার কবিতায় নেই তার বাস,সে নয় আমার প্রিয়।
আমি অশান্ত,অস্থির,নরকের অন্ধকার স্পষ্ট আমি দেখতে পাই।
লোমশ কালো হাত আমায় ডাকে,আমি মন্ত্রমুগ্ধের মত এগিয়ে যাই।
আমি চেতনাহীন,তালবেতাল পা ফেলে সামনে অগ্রসর হয় পঁচা দুর্গন্ধময় অতীত পিছনে ফেলে।
আমি এলোমেলো,অগোছালো।
এ রাত আমার নয়।
ভয়হীন ভাবে স্পর্শ করি সে হাত,চমকে যাই অবাক হই এ হাত যেন পরিচিত শত জনমের।
শক্ত করে আঁকড়ে ধরে আমার বাহু,এ যেন আর কেউ নয় আমার ভেতরের হিংস্র আমি।
ছিটকে দুপা পিছাই,বিশ্বাস করতে চায় না মন।
আমার নরম কোমল আমার ভেতরে এ কোন নিষ্ঠুর আমি।
না,মানি না বিশ্বাস করতে পারি না।
এ সব অন্ধকারে চোরা গলির কারসাজি,আমি নই এত হিংস্র।
বিবেক বলে লাভ কি আর লুকিয়ে,তুই তো মুখোশের আড়ালে ঢেকেছিস অবয়ব।
এ মিথ্যা এ অলীক এ আমার দুঃস্বপ্ন,এ রাতের ভ্রম।
এ রাত নয় আমার।