হে স্রষ্টা, হে মহান, হে দয়াময় মেহেরবান
বিনয় করি, সুপথ দেখাও করি এ আহ্বান।
হিন্দু-মুসলিম, বৌদ্ধ-খৃষ্টান সবাই তোমারে চায়
দেখাও তুমি সোজা পথটা সবে যেন খুঁজে পায়।
হিন্দু চাহে তোমাকে পেতে, পেতে চায় স্বর্গধাম
ভুল পথে যদি তোমায় খুঁজে পুরে কি মনস্কাম?
বৌদ্ধ চাহেনা ভুল করিতে তারও আছে বিশ্বাস
তার পথে সে তোমায় পাবে শেষ হলে নিঃশ্বাস।
খৃষ্টান কখনোই বিশ্বাস করেনা তার পথটা ভুল
তার তরণীই ভিড়বে তীরে খুঁজে পাবে সে কূল।
মুসলিম ভাবে তার পথ সেরা সিরাতুল মুস্তাকিম
সোজা পথে গিয়ে তোমায় পাবে রহমানুর রহিম।
এভাবে মানুষ নিজের মতো বেছে নিয়েছে পথ
সবার চাওয়া তোমাকে পাওয়া যদিও ভিন্নমত!
কেউ যদি জানে তার পথটি নিয়ে যাবে জাহান্নাম
সে কেন তবে নিজে জোগাবে দোযখের আঞ্জাম?
ধর্মের তরে ভেদাভেদ দেখিনা হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রীষ্টান
মুসলিমও তেমন ধর্মের তরে সকলেই কোরবান।
যার দীলে বুঝ আসেনি এখনো কোনটা সত্য পথ
সে কেন পাবে ভুলের শাস্তি মিলেনা আমার মত।
পাগলের যেমন কোন পাপ নাই অবুঝ তাহার মন
না বুঝে যারা ভুল পথে আছে তার পাপ কী কারণ?
বুঝার পরেও যে মানেনা পাপ হতে পারে তার
স্রষ্টা হয়ে কেন আনো না ফিরে তারে বারংবার।
আমার গরু বাঁধিয়া রাখি কারো নাহি ক্ষতি করে
নিজহাতে ঘাস কেটে খাওয়াই তাতে যদি পেটভরে।
কখনো যদি গরু ছুটে গিয়ে কাহারও ক্ষতি করে
গরুকে কেহ দোষ দেয় নাতো আমারই দোষ ধরে।
শক্ত করে কেন বাঁধি নাই দড়ি নহে শক্ত কেন
ছুটিয়া তো গরু যাবেই তবে বাঁধি যদি যেনতেন!
আমাদেরও তুমি বেঁধে রেখো প্রভূ শক্তপোক্ত করে
ছাড়িয়া যেতে নাহি যেন পারি আমাদের রেখ ধরে।
খুব করে চাই প্রাণপণে চাই সৎপথে রবো বলে
তবুও পথ ভুল করে ফেলি শয়তানের কূটচালে।
দুর্বল করে করেছো তৈরি মানুষের চঞ্চল মতি
প্রতিটি পদে শয়তানী ফাঁদে ফেঁসে ঘটে দুর্গতি।
মানুষ তৈরি করেছো তুমি তুমিই রেখো ঠিক পথে
ছুটিয়া যেন যেতে নাহি পারে ভুল করে কোন মতে।