কোকিলের ডিমে তা দেয় কাকে
ভাবি, আহা কাকটা কি যে বোকা
ভালোবেসে যারে বুকে ধরে রাখে
একদিন উড়ে যায় দিয়ে ধোঁকা।
যে ধোঁকা খায় তারে বোকা বলি
প্রতারকেরে বলি চালাক চতুর
ভালোবাসা তাই ছেড়ে গেছে চলি
আমরা মানুষ আজ নিঃস্ব ফতুর।
প্রতারণা করা কোকিলের স্বভাব
শিখেছে যতনে তার শৈশব হতে
এমন কোকিলের নেই তো অভাব
আমাদের এই মায়াময় ধরণীতে!
বসন্ত এলেই চলে আসে কোকিল
ভুলায় পরাণ মধুময় সুরের গানে
বসন্ত গেলেই পুরো বিশ্ব নিখিল
খুঁজিয়াও তারে পাবেনা কোনখানে।
কাহারও জীবনে বসন্ত না এলে
জেনো, কোকিলেরা থাকিবে দূরে
তোমার বুকের প্রেম যাবে দলে
দূর অজানায় যাবে ঠিক উড়ে।
বসন্ত ছাড়া তো কোকিল আসেনা
যতই ডাকো যতই বাসোনা ভালো
নিদারুন শীতেও কখনো আসেনা
গ্রীষ্ম দহনে যতোই তুমি জ্বলো।
কাকদের ডাকে ভরে না তো মন
কর্কশ স্বরে কান করে ঝালাপালা!
মন বলে তখন পারি না তো আর
বাঁচতাম, যদি কান দুটো হত কালা।
কখনো ভাবিনা মন খুলে একবার
কাকেরা করে আমাদের কত কাজ
স্বেচ্ছায় নিয়েছে কতনা দায়িত্বভার
কৃতজ্ঞতাহীণ আমাদের নাই লাজ!
কাককে কখনো ভেবোনা তো বোকা
আসলে, অত বোকা তারা তো নয়
কলস থেকে পানি খাওয়ার গল্প
কে শোনেনি, শুনেছো সুনিশ্চয়!
আমরাই আসলে ধোঁকায় পতিত
নিঃস্বার্থ ভালোবাসাকে বোকামি বলি
যা চিরন্তন, যা মুর্ত, যা সত্য সতত
তাহাকেই অবহেলে পায়ে দলি।
কেউতো দেইনা কাকেদের কর্মফল
তবু তারা কাজ করে যায় স্বার্থহীণ
দেই নোংরা, কর্কশ বলে তারে গাল
তবু কখনো দেয়না হরতাল কোনদিন।
কেতাদুরস্ত পোশাক চোস্ত মুখের বাণী
মধুর কন্ঠ কোকিলের স্বভাব দেখে
কখনো দিওনা সঁপে আপন হৃদয়খানি
পস্তাবে শেষে ইহলোক পরলোকে।