অফিসের ব্যস্ততা সেরে
ধীর পায়ে ফিরে আসি বাড়ি।
বিকেলের সোনা রোদ ঝেড়ে,
আকাশের চিলেরা মেঘ দেয় পাড়ি।
পথ চলি আর ভাবী ক্লান্ত মনে,
কি কি কাজ বাকি আছে কাল।
নিয়তীর নিয়মে বাঁধা এ ভূবনে,
খুব জলদি আসে আবার সকাল।
নতুম উদ্যমে আবার শুরু করি কাজ,
ফুরোয় না তা শুরু হয় পুনর্বার।
অফিস সারতে কখনো পেড়োয় সাঝঁ,
তবু ফিরে আসে সকাল আবার।
বিকেলের সোনা রোদ ঝেড়ে
আকাশের চিলেরা মেঘদেয় পাড়ি।
অফিসের সব কাজ সেরে
প্রতিদিন ফিরে আসি বাড়ি।
বহুদিন দেখা হয় না চিলের সাথে।
অফিসের সব কাজ সারি খুব ত্বরা করে,
তবু কাজ শেষ হয় রোজ রাতে,
জগতের সব কাজ যেন আমারই তরে।
বহুদিন জমে না ক আড্ডা আর বিকেলে,
সিমলাতে অথবা শিশু একাডেমির মাঁঠে।
যাওয়া হয়না আর শত মানুষের ভির ঠেলে,
টি-বাঁধে, পদ্মাগার্ডেনে অথবা বালুর ঘাটে।
মোতাহারের দোকানে চা খাওয়া হয়না কত দিন।
অভ্যাস টা হয়তো গিয়েছে হারিয়ে,
আরো কত অভ্যাস যে হয়েছে বিলিন,
কর্মব্যস্ত এই চাকুরী জীবনে জড়িয়ে।
এখনো বিকেলের সোনা রোদ ঝেড়ে
আকাশের চিলেরা মেঘদেয় পাড়ি,
নাটায় এর মান্জা দেয়া সব সূঁতা ছেড়ে,
পাড়ার ছোট ছেলেরা এখনো ওড়ায় ঘুড়ি।
টিবির পুকুরে নৌকটা এখনো আছে,
চড়া হয়না তাতে অনেক অনেক দিন।
কেন যেন মনে হয় সময়ের কাছে,
দিনে দিনে জমেছে অনেক ঋণ।
এখনও বোঁধহয় বৃষ্টি হয় মাঝেঁ মাঝেঁ,
পড়ে নাক প্রভাব তার কর্মব্যস্ত এই মনে।
মন আমার সব সময় মজে থাকে কাজে,
আড়ি বুঝি নিয়েছি আমি অতীতের সনে।
দিন যায় মাস যায় বছর পেড়োয়,
শুধু শুধু অযথা সময় বয়ে চলে।
আমার এ শরীরটার বয়স বাড়ায়,
আগুনের তাপে যেন মোমবাতি গলে।
ভুলেগেছি কত গান কত কত কবিতা,
ভুলেগেছি কত বন্ধুর নাম ঠিকানা।
হারিয়েছি শৈশবের মায়ামাখা স্মৃতিটা,
আবেগের সম্পর্কের দেনা, পাওনা।
মাঝঁখানে পড়েছি বাঁধা সংসার জালে,
কেটেছে সময় আমার তায় কিছু দিন,
বাস্তব জীবনের খেলাপাতি খেলে।
হৃদয়টা হয়েছে আমার শক্ত মলিন।
চাকরিটা ফুলটাইম সংসার পরে,
মধ্যবিত্ত জীবনটা এমন আমার।
পার হয় যৌবন অফিসের ঘরে,
সন্ধ্যাটা লাগে যেন বৃদ্ধের অবসর...।