আমি আমার সাথে সভ্য হই
তাকে কি হারাই ?
ভেতরের ঐ বন্য আমি কই ?
আমার ভিতর বন্যতা কি শুধুই জৈবিক?
তাই যদি হয় তবে, আমি মানুষ নই ।
কথার গলাটার ছকে, চোখে দেখিনা
কেই বা দিচ্ছে কথা?
শব্দ কথায় কথার কাকে?
এত কথায় সব কথা কি মন রাখে ? রাখে না।
তবুও দেখলে কেন শিউড়ে উঠে শরীর -
“মানুষের অবিরাম সুখে হাঁটছে সভ্যতা
অ্যালকেমির অই স্বর্ণ , ব্রোঞ্জ আর লৌহ ধরে।
সে লৌহকে গড়েছে- তবুও তো বন্য,
পাতার অভিযোজনে আজ পাত্র অনন্য।”
এসবের কথা ভুলিয়ে দেয় সভ্যতার কোন শীর্ষচূড়া ?
কোথায় থামবে এই সভ্যতা ?
নিরঙ্কুশ সুখের নামে যে প্রয়োজন থেমে থামে না-তা?
যত বাস্তব পড়ে চোখে ,
দৃষ্টির গোচরে কত বাস্তব থাকে ঢেকে ! ঢেকে রাখে ।
মানুষের পা- লোহার পাটাতনে ঘুমন্ত শিশুর নিঃশ্বাসে বালুবাতাস,
মৃত শৈশবের তাজা লাশ,
সব ঢেকে রাখে বিলাস ।
চাই না এই খোঁড়াবুড়ো আদিখ্যেতা,
চাই না এই খোঁড়াবুড়ো সভ্যতা ।
স্থির দৃষ্টিতে নেবে সস্থির নিঃশ্বাস,
হাসবে শিশু – সে হাসিই জন্ম দেবে সভ্যতার ।