আমি অপেক্ষায় থাকবো,
আর একটি অনুভূতির ভেতর...
নীরব অপলকের শেষ পলকে,
রাত্রি আর ভোরের মাঝে আধারে কেটে ভাবনার আচর,
আমি আমার অক্ষমতার কালো দেয়ালে লিখবো কিছু কথা।
একা নির্বোধের এ গোপন প্রতীক্ষায়,
যা মনে ভাবি ভাষায়,
তাতেই আমি হারিয়ে যাবো মুর্খতার দুখে,
এই ভাইরাল বোমার বাইনারি সভ্যতা নিয়ে মুখে।

এভাবেই,
রাতের গভীরতার আরো গভীর আঁধারে,
মুর্খ দানবের মনে লুকিয়ে রাখা কালোকে
শরীরের চামড়ায় ঢাকা কংকালটা যত্ন করবে।
চোখহীন অন্ধকার গর্ত হতে বিস্ময়ের দৃষ্টি ছড়িয়ে,
আমি মানুষের মানচিত্রে প্রতিটি পাশবিক কণ্ঠের কথা নীরব ভেবে যাবো,
খুলি খুলে আঁধার হাতরে নিজের মগজ খাবো!

ভোর হবে,
জানালায় লাল সূর্য মাথা দোলাবে,
আলোতে প্রাণ পাবে রাত্রিতে মৃত্যুমান ঘুমন্ত দেহগুলো,
কার্নিশে ঘুমিয়ে থাকা চড়ুইদের দল বেরিয়ে যাবে পাতার খোজে,
রাতের শহরে চাঁদের বৃত্ত পেরিয়ে ক্লান্ত সারস ডুব দেবে সমুদ্রে।
আকাশের নীলকন্ঠী বেদনার চাদর সরে যাবে ধীরে......

যেন,
সব সুন্দরের জন্যই একা রাত জেগে থাকা,
আলোর সব রঙের জন্যই কংকালের আঁধার মাখা।

সেই ভোরের বাতাসে...
একটি দীর্ঘশ্বাসে,
একা অনুভবগুলো সব লুকিয়ে চার দেয়ালের ভিতর,
পৃথিবীর সব সুখ হতে ফিরিয়ে নেব মুখ।
সাদা চাদরে আমার অক্ষমতা ঢেকে,
অমানুষ হয়েই মাংস সমেত ঘুমিয়ে যাবো,
সাদা খাতায় ঘুমিয়ে যাবে আমার কালো বলপেন।

বেচে থেকেই...
একদিন মৃত্যুকে ঠিক খুজে পাবেই এ জীবন,
প্রতিটি মুহূর্তে যেন সে প্রতিক্ষায় থাকি,
আজও দেখি মৃত্যুকে এতটাই -
এমনই,তাই বাকি।