চারটি মৌলিকের এ জগতে,
পৃথিবী,আর তার জল,মাটি,বাতাসের বার্তা শুনে,
গ্রহনের পর আঁধারের ভয়ে,অলৌকিক মুহূর্ত গুনে,
তাকে বসিয়েছি কোন কচ্ছপের পিঠে,
অথবা ব্রহ্মার নাভিমূলে জন্ম নিয়েছি কীটে।
বলেছি বিধাতা আছে।
তবু প্রশ্ন করেছি বিস্মিত আলোকে-
তাকে কি দেখা গেছে?
খুজেছি আরো কিছু অব্যাখ্যাত উদ্ভট প্রশ্নের উত্তর,
দিয়েছি নিজেকে একা বসে সব আর্তনাদ!
সম্পদের ঘরে নীতির প্রহেলিকায়
দেখেছি ডেমো,বলেছে ডেমক্রিটাস উন্মাদ।!
পেয়েছি সূর্য ঘড়ি,
মহাবিশ্বে সময়ের মাঝে আনাড়ি-
ঘরে বসে ক্ষিতির পরিধি মেপে,
কিছু সত্য ঢেকে,
তাকেই কেন্দ্র করে উঠেছি খেপে!
বলেছি,বিধাতা থাকে অসীমের উত্তরে,
উত্তমের উদরে।
বলিনি,পৃথিবী ঘুরছে দান্দিকতায় বিকেন্দ্রিক,
প্রতিচিন্তা চলবেই যান্ত্রিক!
হারিয়েছি প্রতিটি ক্ষন সময়ে ভেসে,
আবার স্তব্ধ হয়েছি ধ্বংসের শেষে!
জেনে,দুই হাতের অসীম সম ক্ষমতা,
পাশবিকতায় গড়েছি সভ্যতা,মানুষের বেশে!
ভুলে গেছি বিধাতার মন,
ভাগ্যের লিখন লিখেছি দুহাতে গুহায়,
চাঁদ যেন মায়াবি নদী,
যার জলে মাটিতে ফসল মাখাই।
ভাবের ভাবে দন্দ করেছে পরিতাপ,
শূন্য এলো, পূর্ণ হলো পাপ।........