নীলাম্বরী তুমি জান কি-
তুমি চইলা গেলে এক বিন্দুও কষ্ট হবে না আমার
তুমি যে পথ ধরে হেঁটে হেঁটে যাবে বহুদূর
আমি সেই পথে চৈত্রের তুফানি বাতাসে বসে-
নিভৃতে থাকিয়ে থাকব তোমার দৃশ্যমান পর্যন্ত
তারপর, এই মাটির অণু পরমাণু গুনে গুনে
দেখব, কতটা দিন কতটা সময় কতটা ঘণ্টা ছিলে
আমার পাশে। তারপর, এই ধূলোময় শহরে
ফ্যাকাসে চেহারা ধুলোমাখা করে একা হাঁটতে চাইবো।
নীলাদ্রি তুমি বুঝ কি আমায়?
কতটা ভালোবাসলে তুমি আমায়-
তোমাকে নিয়ে ঐ পথ ধরে দিনের পর দিন ঐ রাস্তায়
বসে বসে কাটিয়ে দিব; করব না আমি বালির ন্যানোকণার হিসাব।

তুমি বুঝনি আমায়-
আমি চান্নি-পসর রাইতে ঝিনুক পোকার মিছিল দেখতে চাইছিলাম।
সেবার আমি তোমাকে না বলে—
একা একা গিয়েছিলাম ঐ আমগাছ তলার পুকুর পাড়ে; কিন্তু জান তুমি?
আমি একা ছিলাম না; দুইজন ছিলাম না—
শতশত ঝিনুক পোকার মিছিল দেখেছিলাম সেবার।
তোমাকে জানাইনি আমি; বলিনি কিছু সে রাতের কথা—
রেগে গেলে, অভিমান করে দুই দিবস ছিলে দূরে।
আমার সাথে চাঁদ ছিল; ঊর্ধাকাশে তারা ছিল
বিশ্বাস কর আমি মোটেও একা ছিলাম না।
বিশাল আকাশের বুকে নিঃসঙ্গ নক্ষত্রগুলো আমাকে পেয়ে; যেন কেঁদেকুটে তারা সুখের মিছিল করেছিল
আমিও আনন্দে বিমোহিত হয়ে নক্ষত্রের সাথে সখ্যতা গড়ে তুলি।
তোমাকে বলা-ই হয়নি-
যখন বলতে চাইলাম; নানা কারণে ইতিহাসে
ঐতিহ্য হয়ে চলে গেলে ঐ বালুময় পথ ধরে।
বিশ্বাস করো, তুমি চইলা গেলে আমার সমুদ্র শুকাবে না
চৈত্রের খরা কিংবা মাঘের তীব্র শীতে আমার ফাঁটা ঠোঁটজোড়া আর বিড়বিড় করবে না।
একদণ্ড আষাঢ়ের বৃষ্টির ফোঁটার প্রয়োজনবোধও করবে না।
যতটুকু ভালোবাসা দিয়েছ আমায়; সমুদ্রসৈকতসম!
নীলাম্বরী তুমি জান কি-
তুমি চইলা গেলে একবিন্দুও কষ্ট হবে না আমার।