মরণ, এতো অমোঘ সত্য বিধাতার নিজ বাণী
        যেদিন বাজিবে ঘণ্টা মরণের বার্তাখানি,
প্রাণটা, থাকবে না এই সোঁদা ঘাসের বাংলায়।
কুয়াশার ভীড়ে কোন শীতের অন্ধকার ভোরে-
হেঁটে হেঁটে যাব না মৃত তালগাছটার গোড়ায়
পাতিহাঁসের প্যাক প্যাক ধ্বনি কর্ণকুহরে,-
হৃদে তরঙ্গ সৃষ্টি করবে না---- পাশে রাস্তায়
ব্যবচ্ছেদের ব্রিজের ছিদ্রে চড়ুইপাখি বাসা বাঁধবে কি?

সেদিন-
জনে জনে বড়োই পাতার গরম পানিতে গোসল-
বাঁশের কাঠির বেড়া দিয়ে মাটি দিবে ঠ্যালে ঠ্যালে।
এই বাংলার সাড়ে তিন হাত জায়গা আমার কোলে?
তবে কি, সন্ত্রাসী-চাটুকারিতার জায়গাটা সকলের?
এই বাংলার পবিত্র মাটি ঠাঁই দিবে কি ওদের?
যুগ যুগ ধরে ওদের কান্না শুনা যাবে মৃত্তিকার তরে-
আমি কর্ণপাত করেছি, শুনেছি শ্রুতিকটু চিৎকার
মৃত্তিকার প্রেম-ভালোবাসা থেকে বঞ্চিত কাঙাল।

আমার ভয় হয়, হাঁটু কাঁপে- রক্ত চলে না ঠিকঠাক
কবরে ঠাঁই হবে কী আমার?