জরিনার মা, চোখে অজস্র জল কেন?
সূর্য উঠেনি, ঘুমন্ত স্থবির ধরা;
সংগ্রহে শূন্য বেলীফুল আর গাঁদা।
পাখির দল উড়ছে দ্যুলোকে,
লাটাই ছাড়া উড়ছে ঘুড়ি সুনীল গগনে।
তবুও, কেঁদে কেঁপে কাঁদছো কেন?
নির্বাক পেটের ক্ষুধার চিৎকার
অপূর্ণতায় সন্তানের সমস্ত আবদার
মরণেও ভালো থাকুক সুশীল সমাজ।
নিথর দেহ শুকিয়ে পানি শূন্য
রক্তের প্রবাহে, বাতাসের বেগে
শোকের সমারোহ!
ধনাঢ্য ব্যক্তি আর সুশীল সমাজ
অল্প পয়সা কি পারে না করিতে দান?
বস্ত্র যদি নাই জুটিল, অন্নের অভাবে
মোরা আজ মরব কেন?
রাষ্ট্রনীতির নিয়ম অনিয়মে
চাল আসবে না কেন মোর ঘরে?
সরোবরে যদি যায় স্নানে
চালের বস্তা পায় কেন পায়ের নিচে?
শুনো জরিনার মা,
ব্যস্ত ধনাঢ্য ব্যক্তি ধন সঞ্চয়ে
রাষ্ট্রনীতি রাষ্ট্রের অসুরদের দখলে
করিল যদি দান তোমাদের সমাজে
রাক্ষসের নিয়মে ভক্ষণ করে গিলে।
তারা নয় মানব, নেই তাদের নীতি
তারা ড্রাগন নামক রাক্ষস জাতি।
আক্ষেপ নয়, আফসোস নয় চোখে
বরং আঁচল দিয়ে জল ফেল মুছে।
এসো আমার গৃহে, নাও কিছু খাদ্য
রাতের আহার শেষে করিও মান্য।