নৈঃশব্দ্য ভোরের আলোয়
জ্ঞানের রাজ্য কাঁধে ঝুলিয়ে-
             হস্তে খাতা; পায়ে হেঁটে তীর্থস্থানে
আমি একা-
মানুষ নেই, যান নেই-কাস্তে হাতে কৃষাণ পৌঁছায়নি ক্ষেতে।
         ধুম্র মৌন মালয় সমীরে-
   ধুকধুকী হৃদয়, চোখে স্বপ্ন, মুখে ভয়;
সারি সারি গাছ পাখির সুরেলা আওয়াজ
নক্ষত্রের একাকীত্বের চেয়েও ভীষণ
একা-
আমি একা এক পথিক রাস্তার তরে
ভীষণ পিপাসু-
জ্ঞানের খুঁজে, মানবের খুঁজে মানুষীর সন্ধানে
আমি হাঁটছি, আমি স্পর্শ করছি সজীবতায়
ছুটছি রকেটের বেগে;
মানব সমাজে অতৃপ্ত সত্যের আগুন জালিয়ে।
হঠাৎ!
হঠাৎ বিষ্ময় চোখে স্বপ্ন নয়
অগাধ আস্হা চোখে মুখে আবাদ হয়
ভালোবাসার শস্যক্ষেত আমার জন্ম লয়;
জ্ঞানের বেড়াজালে বাঁধিতে কুঠির তাহার
খুব কষ্ট হয়!

পলকহীন অপূর্ব আঁখি দু'টি-
আমি দেখি নিজেকে দুটি অতল সমুদ্রে ডুবে
চেনা শহরে, অজানার ছাপ
মরুভূমির মরিচীকাময় দু'টি ছদ্মবেশ সংলাপ।
ধূলিধূসর ধীরোদাত্ত নীলিমার সমুদ্রে
কালো তরঙ্গের ঢেউয়ে আমি দোলায় হৃদে
ডুবে যায় কিম্বা হারিয়ে যাই নীলিমার নীলে।
রক্তিম চোখে মণিমুক্তায়;ঝিনুকের আলোয় পবিত্র বাণী খোদাই করি হেথায়।

ধীরোদ্ধত নীলিমার ধূম্রকেশিনী-
কাঁধের এপাশ ওপাশ করিয়া চ'লে
গন্তব্যে;
নূতন নৌকায় চরণ পে'লে!
ভালোবাসার শস্যক্ষেত আমার জন্ম লয়
জ্ঞানের গহীন গহব্বরে বাঁধিতে বাসা তাহার খুব
কষ্ট হয়!

আমি ফিরিয়া আসি রাস্তার তরে
আমার জন্ম একা!
চ'লিব এ'কা-
আকাশের পানে-মানবের মাঝে;
সমাজের মুখে- অতি নিকটে
হৃদয়ের গহীন গহব্বরে বাঁধিতে বাসা তাহার যে
খুব কষ্ট হয়।

১২/০৭/ ২০২০