শেষ বিকেলের প্রিয়তমা আমার
হানা দেয় প্রতি রাতে
কম্বলের শীতে
মজ্জায় জমানো রসালো হাড়
কাঁপা কাঁপা সলতের মতো কাঁপন তোলে
বোহেমিয়ান সভ্যতার রক্তাক্ত ইটে ;
তেষ্টায় প্রতিদিন
শেষ বাক্য লিখি
শিশিরের ফোঁটায় ফোঁটায় !
কান পেতে থাকি
কখন প্রেত্ শব্দ
বিচিত্র প্রণয়ে
পেঁচার নিঃশব্দ চালে
হরণ করে
আমার পূরণ অভিসার !
হাতের নাগাল রাখি
ঔষধের পত্তর
যেন শেষ চেষ্টায়
আটকাতে পারি
প্রিয়তমার আলিঙ্গন !
তোমার ঠোঁটের উপর
আমার নরম স্নিগ্ধ চুমো
তোমার প্রতি আমার ভালোবাসার
শেষ স্মারক চিহ্ন
প্রিয়তমা আমার ;
ঐ ঠোঁটে এখন নিকোটিনের বসবাস
আমাকে ভালোবাসতে হলে
তোমাকে ওখানেই ছুঁটে আসতে হবে !
যদি শেষ বাক্য বলার
অনুমতি মেলে কপট হৃদয়ে
আমি তখনো বলবো
তোমাকে ভালোবাসি
তোমাকে ভালোবাসি
প্রিয়তমা আমার !
উৎসর্গ : যারা মৃত্যুর কাছে হেরে গিয়ে
জিতে যায় ।
মেঘদূত
২৬/০৭/২১ ইং
বনানী, ঢাকা ।