নদী ও শেওলার আবহমান জীবন ছুঁয়ে
সহস্র জীবন
তুফানি জলে
মৃত জলকণার
লোনা কান্নায়
সুরের প্রতিধ্বনি তুলে
গভীরতা ছুঁতে গিয়ে
শাখা-প্রশাখায় প্রায় লুপ্ত
একখণ্ড কচুরিপানা নিয়ে
খেলা করছে
একটি রাক্ষুসে মাছ !
শাখায় শাখায় রূপান্তরিত স্রোত
হঠাৎ একদিন থেমে যাবে
বেড়ে উঠা দানবের মুষ্টিতে !
মৃত্যুর অভিসারে
আমি জানি
প্রিয়া আমার শুষ্ক ফুলে বিসর্জন দেবে
তার স্যাঁতস্যাঁতে ভালোবাসা !
নদী ও শেওলার বুকে
একদিন জেগে উঠবে চর,
গড়ে উঠবে বসতি
পায়ে পায়ে আড়ষ্ট হবে ধূলিকণা !
জানি না
নদীর স্রোতে
ভাঁজ করা কাগজে লেখা
একখানা পদ্য মুষ্টিতে রেখে
শেলির মতো
ঐরকম অনিন্দ্য মৃত্যুর দুয়ারে
পৌঁছতে পারবোনা কিনা
হিংস্র একবিংশে
কেননা দিনদিন লোকের নষ্ট হাতে
মরে যাচ্ছে আমার স্রোতস্বিনী !
মেঘদূত
১৯/০৭/২১ ইং
মতলব উত্তর, চাঁদপুর ।